ফরিদপুরের মধুখালীতে ঝর্ণা বেগম নামের এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার দুপুরে তার মরদেহ উদ্ধার করে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। নিহত ঝর্ণা বেগম উপজেলার মীরের কাপাষহাটিয়া গ্রামের আলতু শেখের স্ত্রী।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আট বছর আগে প্রেম করে উপজেলার কামালদিয়া ইউনিয়নের মীরের কাপাষহাটিয়া গ্রামের আমজাদ শেখের ছেলে আলতু শেখের (৩০) সঙ্গে একই এলাকার জাবেদ আলীর মেয়ে ঝর্ণার বেগমের (২৬) বিয়ে হয়। কিন্তু কিছুদিন পর থেকে দুজনের মধ্যে বনিবনা হচ্ছিল না। মাঝেমধ্যে আলতু শেখ স্ত্রী ঝর্ণা বেগমকে মারধর করতেন।

গতকাল মঙ্গলবার রাতে আলতু শেখ ও ঝর্ণা বেগমের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে স্বামী আলতু শেখ স্ত্রী ঝর্ণা বেগমকে মারধর করেন। আজ বুধবার সকালে বাড়ির লোকজন দেখতে পান ঝর্ণা বেগমের মরদেহ ঘরের মধ্যে পড়ে আছে। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. নুরুল ইসলাম বলেন, গৃহবধূকে হত্যা করা হয়েছে নাকি আত্মহত্যা করেছে বিষয়টি জানতে বাড়িতে গিয়েছিলাম। কিন্তু কিছুই বুঝতে পারছি না। সংবাদ পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে গেছে।

ঝর্ণার মামা মো. বিশু খাঁ বলেন, ঝর্ণাকে নির্যাতন করে হত্যার পর মুখে বিষ ঢেলে দেওয়া হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডে আলতু ও পরিবারের সদস্যরা জড়িত।মধুখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রথীন্দ্র নাথ তরফদার বলেন, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পরই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বলা সম্ভব হবে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে।