কুষ্টিয়ায় পৌরসভার নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধুর ভাষ্কর্যে ভাঙচুর মামলার চার আসামীর রিমান্ড আবেদনের শুনানির জন্য আগামীকাল দিন ধার্য করেছে আদালত।
পুলিশ আজ সোমবার বেলা ১টা ১০ মিনিটের সময় কঠোর নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে দিয়ে আসামীদের কুষ্টিয়া আদালতে আনেন। পরে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল সদর আমলী আদালতে হাজির করে প্রধান দুই আসামী মাদ্রাসা ছাত্র মিঠুন ও নাহিদের ১০ দিন ও সহযোগী দুই শিক্ষক আল আমিন ও ইউসুফের ৭ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন।
বিশেষ ক্ষমতা আইনের এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি তদন্ত নিশিকান্ত সরকার জানান, আদালত আগামীকালের শুনানীর দিন ধার্য করে আসামীদের জেলা কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। পরে তাদেরকে কড়া পুলিশি পাহারায় কুষ্টিয়া জেলা কারাগারে নেওয়া হয়। এসময় কুষ্টিয়া আদালতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। আগামীকাল একই আদালতে বিজ্ঞ বিচারক রেজাউল করিম রিমান্ড আবেদনের শুনানী করবেন।
প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, মাওলানা মামুনুল হক ও মাওলানা ফয়জুল করিমের বয়ানে উদ্বুদ্ধ হয়ে ও গ্রেফতারকৃত দুই শিক্ষকের দেয়া সাহসে নাহিদ আর মিঠুন এ কাজ করেছে। কিন্তু এর পেছনে কারা জড়িত রয়েছে, কারো ইন্ধন রয়েছে কিনা, থাকলে তাদের খুঁজে বের করতে আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজনে পুলিশ রিমান্ডের আবেদন করেছেন।
গত শুক্রবার রাত ২টা ১৬ মিনিটে অভিযুক্ত আসামী মাদ্রাসা ছাত্র সবুজ ইসলাম ওরফে নাহিদ ও আবু বক্কর ওরফে মিঠুন হাতুড়ি দিয়ে কুষ্টিয়া শহরের ৫ রাস্তার মোড়ে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধুর ভাষ্কর্যে ভাঙচুর করে। পরে তাদের ভাষ্যমতে সহযোগিতা করার অপরাধে একই মাদ্রাসার শিক্ষক আল আমিন ও ইউসুফ আলীকে গ্রেফতার ও এই মামলার আসামী করা হয়।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন