পাওনা ১৭শ’ টাকার জন্য বৃদ্ধকে রড দিয়ে পিটুনি

পাওনা ১৭শ’ টাকার জন্য বৃদ্ধকে রড দিয়ে পিটুনি
MostPlay

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় রফিজ উদ্দিন নামে এক বৃদ্ধকে পাওনা ১৭শ টাকার জন্য লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে রাকিব নামে এক সমিতির মালিক। বুধবার রাতে শিবুমার্কেট এলাকায় এঘটনায় চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে ফতুল্লা মডেল থানায় অভিযোগ করেন রফিজ উদ্দিন।  

এলাকাবাসী জানান, রাকিব মধ্যসস্তাপুর এলাকার রহম আলীর ছেলে। সে বিনিময় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি নামে একটি প্রতিষ্ঠান দিয়ে দিনমজুর অসহায় হতদরিদ্র লোকজনদের সাথে প্রতারণা করে সর্বস্ব হাতিয়ে নিচ্ছে। কেউ প্রতিবাদ করলে তাকেই মারধর করে মারাত্মক জখম করেন। তার সমিতির কোন সরকারী অনুমোদন নেই। এলাকাবাসী রাকিবের কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এলাকাবাসীর দাবি রাকিবের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হোক।  

আহত রফিজ উদ্দিন বলেন, '১৭শ টাকা দিতে পারিনি বলে আমাকে লোহার রোড দিয়ে হাতে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে পিটিয়েছে সমিতির মালিক রাকিব। রাতে প্রচন্ড জ্বর ও শরীর ব্যথায় যন্ত্রনা সহ্য করেছি। নারায়ণগঞ্জ ১০০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছি। ডাক্তারের দেয়া চিকিৎসায় ওষুধ খেয়ে এখন কিছুটা সুস্থতাবোধ করায় ফতুল্লা মডেল থানায় অভিযোগ দেই। তবে অভিযোগ তদন্তে যাওয়ার পূর্বেই থানায় এসআই আরিফ ২ হাজার টাকা ঘুষ চায়। তখন আমি তাকে বলি আমি রিকশা চালাই। ১৭শ টাকা দিতে পারিনি বলে আমাকে বেধড়ক পিটিয়েছে। আমি টাকা দিব কোথা থেকে।

পরে এসআই আরিফ ঘটনাস্থল শিবুমার্কেট লতিফ সুপার মার্কেট বিনিময় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি অফিসে এসে রাকিবকে জিজ্ঞেস করেন মারধরের কথা। পরে এসআই আরিফের সঙ্গে রাকিব কিছুক্ষণ নিরিবিলি কথা বলে। এরপর এসআই আরিফ এসে আমাকে জানায় এঘটনায় কোন মামলা হবেনা। রাকিব যাতে কোন সমস্যা না করে বলে দিচ্ছি আর চিকিৎসার জন্য ৩ হাজার টাকা রাকিবের কাছ থেকে নিয়ে যাও। এতে আমি টাকা নিতে অনিচ্ছুা প্রকাশ করলে এসআই আরিফ বলেন, তাহলে রাকিব পরবর্তীতে আর কিছু করবেনা তোমাকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর দিতে হবে। এসময় সাদা কাগজে স্বাক্ষর দিবো না বললে পুলিশের গাড়ি চালক অকথ্য ভাষায় আমাকে গালাগাল করেন। তখন কাগজে কি লিখে সেখানে আমার কাছ থেকে স্বাক্ষর রাখেন জানিনা। স্বাক্ষর নেয়ার পর পুলিশ রাকিবকে বলেন সরি বলো। তখন রাকিব দূর থেকে বলে সরি যাও। পরে আমি বাসায় চলে আসি।'

এবিষয়ে এসআই আরিফ পাঠান জানান, আন্তরিকতার সাথে তদন্ত করে দেখেছি তেমন মারধর করেনি। আর এ মারধরে মামলা হয় না। হাসপাতাল সামান্য জখমেই চিকিৎসাপত্রে পুলিশ কেইস সীল মেরে দেয়। তাই উভয় পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি মিমাংসা করে দিয়েছি। এতে যদি আহত ব্যক্তি সন্তুষ্ট না হয় তাহলে জিডি করুক আমি আদালতের অনুমতি নিয়ে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password