করোনাভাইরাসের কারণে জার্মানিতে যখন লকডাউন চলছিল, তখন বন্ধ করে দিতে হয়েছিল মিনিয়েচার ওয়ান্ডারল্যান্ড মিউজ়িয়াম ৷ তবে সেই সময়টাকে কাজে লাগিয়েছেন মডেল ট্রেনের স্রষ্টা ফ্রেডারিক ব্রাউন ও তাঁর দলবল ৷ প্রায় ৩০০০-এরও বেশি কাচের গ্লাসে পানি ঢেলে সারি বেঁধে সাজানো হয়েছে ৷
এই ট্রেন চলার দৃশ্য দেখলে সত্যিই মন ভালো হয়ে যাবে। সারি সারি ওয়াইন ভর্তি গ্লাস। যেন লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা পাম গাছের দল। আর এর মাঝখান দিয়ে এঁকেবেঁকে রেল লাইন চলেছে। কিন্তু সেখান থেকেই ভেসে আসছে অদ্ভুত রিনরিনে সুর। ট্রেন যত এগোচ্ছে, ততই মিষ্টি গানের সুর যেন আচ্ছন্ন করছে শ্রোতাকে৷
চোখ বুজলে মনে হবে কখন যেন পৌঁছে গিয়েছেন কোনও ক্ল্যাসিক্যাল কনসার্টে। আর সেখানেই একের পর এক গানের সুর মন মাতাচ্ছে। চোখ খুললে পৌঁছে যাবেন জার্মানির হামবুর্গের মিনিয়েচার ওয়ান্ডারল্যান্ড মিউজ়িয়াম। কারণ সেখানেই রাখা রয়েছে এই মডেল ট্রেন ৷
হাজারেরও বেশি পানি ভর্তি ওয়াইন গ্লাসে সুর তুলে ইতিমধ্যেই গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে জায়গা করে নিয়েছে এই ট্রেন৷ তবে একটা ওয়াইন গ্লাস তুলে নিলেই সুর হয়ে যাবে বেসুরো। এভাবেই প্রায় ২০টি গানের সুর তুলছে এই মডেল ট্রেন।
তবে গিনেস বুকে নাম উঠলেও ট্রেন নিয়ে ঠিক ততটা সন্তুষ্ট নন স্রষ্টা ব্রাউন। তার কথায়, "এটা একেবারে পারফেক্ট হয়নি ৷ শুধু ওয়াইন গ্লাসগুলো বাজানোর চেষ্টা করেছি ৷ এই বিশ্ব রেকর্ডটা দারুণ একটা রেকর্ড ৷ তবে এটা যে শিগগিরই কেউ ভাঙতে পারবে না ৷ এ ব্যাপারে আমি নিশ্চিত।"
উল্লেখ্য, জার্মানির মিনিয়েচার ওয়ান্ডারল্যান্ড মিউজ়িয়াম যে এই প্রথমবারই গিনেম বুকে নাম তুলল, তা অবশ্য নয় ৷ এর আগে বিশ্বের দীর্ঘতম মডেল ট্রেন তৈরি করা হয়েছিল এখানেই ৷ যার রেল ট্র্যাকের দৈর্ঘ্য ছিল ১৫,৭১৫ মিটার ৷ তবে এই নতুন জলতরঙ্গ-ট্রেন যে একটু অন্যরকম অভিনব সে কথা অস্বীকার করতে পারবেন না শিল্প রসিক ও সুর-রসিকরা।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন