নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে রাফিত আল হাসান নামে মুন্সিগঞ্জগামী একটি লঞ্চ প্রায় ৪৬ জন যাত্রী নিয়ে ডুবে গেছে। এ ঘটনায় ৩ নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।তবে তাদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।এ ঘটনায় ২০ জন সাঁতরিয়ে তীরে উঠতে পারলেও বাকি ২৩ যাত্রী এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
রোববার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে শীতলক্ষ্যা নদীর চর সৈয়দপুর এলাকার ব্রিজ সংলগ্ন স্থানে এ ঘটনা ঘটে।এর আগে বিকাল ৫টা ৫৫ মিনিটে লঞ্চটি নারায়ণগঞ্জ থেকে মুন্সিগঞ্জের দিকে রওনা দেয়। এসকে ৩ কোস্টার জাহাজের ধাক্কায় এটি ডুবে যায়।লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি বদিউজ্জামান বাদল সংবাদিকদের জানান, লঞ্চটি সন্ধ্যা ৬টার কিছু সময় পর নারায়ণগঞ্জ ছেড়ে যায়। পথিমধ্যে ঝড়ের কবলে পড়লে এটি দুর্ঘটনার শিকায় হয় এবং অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে ডুবে যায়।নারায়ণগঞ্জ নৌপুলিশের ইন্সপেক্টর শহিদুল ইসলাম জানান, একটি শীতলক্ষ্যা নদীতে চায়না ব্রিজের নিচে সাবিত আল হাসান নামের একটি লঞ্চ ডুবেছে। দুর্ঘটনার খবরে নৌ পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গেছেন।
এদিকে বিআইডব্লিউটিএ’র উদ্ধারকারী ইউনিট দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।এছাড়া বিআইডব্লিউটিএ’র উদ্বারকারী জাহাজ নারায়ণগঞ্জ থেকে রওনা দিয়েছে। দুর্ঘটনার কারণ উৎঘাটনে বিআইডব্লিউটিএ’র পরিচালক (নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক) মো. রফিকুল ইসলামকে প্রধান করে ৪ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেকসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে রয়েছেন।রাতে ডুবে যাওয়া লঞ্চটির অবস্থান চিহ্নিত করা হয়েছে।নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও বিআইডব্লিউটিএ উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন