না ফেরার দেশে চলে গেলেন কুষ্টিয়ার ফুড ডেলিভারি গার্ল (খাদ্য সরবরাহকারী) কলেজ ছাত্রী রজনী অধিকারী (১৯)। সোমবার (৮ মার্চ) নারী দিবসের দিনই রাত ১১টায় গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত কবির রজনীর এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।পারিবারের দাবি, বন্ধুর ওপর অভিমান করে রজনী আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন।
রজনী অধিকারী কুষ্টিয়া শহরের থানাপাড়া এলাকার ৯ নম্বর পলানবক্স এলাকার অশোক অধিকারীর মেয়ে। তিনি খাদ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ফুড পান্ডার কুষ্টিয়া জেলার একমাত্র এবং বাংলাদেশের হাতে গোনা সাত-আট জন নারী খাদ্য সরবরাহকারী মধ্যে একজন ছিলেন।
২০১৮ সালে কুষ্টিয়া হাই স্কুল থেকে এসএসসি পাশ করেন রজনী। বর্তমানে কুষ্টিয়া শহরের আইডিয়াল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের ডিপ্লোমা ইন কম্পিউটার বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।নিহতের বাবা অশোক অধিকারী জানান, রজনী খুব রাগী এবং অভিমানী ছিল। বন্ধুর ওপর অভিমান করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
ফুড পান্ডার কুষ্টিয়া অফিসের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক ফজলে রাব্বী জানান, রজনী খুব বিনয়ী ছিলেন। মন দিয়ে কাজ করতেন। অল্প দিনেই তিনি গ্রাহকদের মন জয় করতে সক্ষম হয়েছিলেন।
রজনীর বান্ধবীরা জানান, রজনী খুব জেদি ছিল। যখন-তখন মান অভিমান করে হাত কাটতো ও না খেয়ে থাকতো।বান্ধবীদের দাবি, রাজবাড়ী জেলায় থাকা তার এক বন্ধুর ওপর অভিমান করে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত কবির জানান, মঙ্গলবার সকালে রজনীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন