কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার মেয়ের ননদকে ধর্ষণের অভিযোগে জাহাঙ্গীর আলম (৫০) নামের এক ব্যাক্তিকে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে অভিযুক্ত ওই ধর্ষণকারীকে কুমিল্লার জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।
অভিযুক্ত ধর্ষক জাহাঙ্গীর আলম উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন চাপিতলা ইউনিয়নের খাপুড়া গ্রামের মৃত. আব্দুল বারেক মিয়ার ছেলে।
সূত্রে জানা যায়, গত বছর ওই কিশোরীর ভাইয়ের সাথে জাহাঙ্গীর তার মেয়েকে বিয়ে দেন। গত বছরের ৮ নভেম্বর জাহাঙ্গীর জোর পূর্বক তার মেয়ের ননদ (১৯) কে ধর্ষণের পর তাকে প্রাণে মেরে ফেলার ভয় দেখায়। তাই ভয়ে ধর্ষণের বিষয়টি ওই কিশোরী এতোদিন কাউকে বলেনি। পরে গত শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ধর্ষণের বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে। পালিয়ে যায় অভিযুক্ত ধর্ষক জাহাঙ্গীর আলম। এ বিষয়ে পরদিন শরিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাতে ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী তার তালুই জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে বাঙ্গরা বাজার থানায় এসে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের পর বাঙ্গরা বাজার থানা পুলিশ ওইদিন রাতেই গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযুক্ত ধর্ষক জাহাঙ্গীর আলমকে ঢাকার বংশাল থানার ছুরি টোলা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে।
স্থানীয় ভাবে জানা যায়, অভিযুক্ত ধর্ষক জাহাঙ্গীর আলমের নিজ গ্রামে ৩টি, পার্শবর্তী রগুরামপুর গ্রামে ১টি ও জেলার দেবিদ্বার থানার মহেশপুর গ্রামে ১টি বিয়ে করেছেন।
এ বিষয়ে বাঙ্গরা বাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে জাহাঙ্গীর আলমকে আটক করা হয়েছে। রবিবার দুপুরে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে কুমিল্লার জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। জাহাঙ্গীরের মেয়ের ননদকে ডাক্তারি পরীক্ষা জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন