মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চির আটকাদেশের মেয়াদ আগামীকাল বুধবার পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এ ছাড়া দেশটির প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টের আটকের মেয়াদও বাড়ানো হয়েছে। আজ মঙ্গলবার তাঁদের আইনজীবী খিন মাউং জ এই তথ্য জানিয়েছেন। খবর এএনআইয়ের।
১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান হয়। এর মধ্য দিয়ে ক্ষমতাচ্যুত করা হয় অং সান সু চি ও প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টকে। আর ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ নেন দেশটির সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইং। এ ছাড়া ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব দেওয়া হয় সাবেক জেনারেল ও বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট মিন্ট সোয়েকে।
এই অভ্যুত্থানের পেছনে অন্যতম কারণ গত নভেম্বরের নির্বাচন। ওই নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলেছে সেনাবাহিনী। এরপর পার্লামেন্টের প্রথম অধিবেশন শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে ১ ফেব্রুয়ারি প্রেসিডেন্ট মিন্ট, সু চিসহ শীর্ষস্থানীয় নেতাদের প্রথমে আটক এবং পরে বিভিন্ন অভিযোগে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এরপর এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করা হয় মিয়ানমারে।
এএফপির খবরে বলা হয়েছে, সু চিকে আটকের পর তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছিল, তিনি আমদানি-রপ্তানি আইন ভঙ্গ করেছেন। এরপর আজ আরেকটি অভিযোগের কথা জানিয়েছেন সু চির আইনজীবী খিন মাউং জ। তিনি বলেন, জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থা আইনের ২৫ ধারা অনুসারেও তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
এদিকে সু চি ও উইন মিন্ট বর্তমানে গৃহবন্দী। এ প্রসঙ্গে আইনজীবী খিন মাউং জ বলেন, মামলার শুনানি চলবে তাই তাঁরা আরও দুদিন, অর্থাৎ ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আটক থাকবেন। দেশটির পত্রিকা মিয়ানমার টাইমসকে এই তথ্য জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরও বলেন, তাঁরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আদালতের শুনানিতে অংশ নেবেন।
এদিকে সামরিক অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ক্ষমতা দখলের পর আজ প্রথমবারের মতো সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাও মিন তুন পুনরায় দেশটিতে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বিজয়ীদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি দেন।
ফেসবুকে এই সংবাদ সম্মেলন লাইভ করা হয়। যদিও দেশটিতে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার বন্ধ করে দিয়েছে জান্তা সরকার। এই মুখপাত্র বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য হলো নির্বাচনের আয়োজন করা এবং বিজয়ী দলের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা।’
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন