বাগেরহাটে সুবর্ণজয়ন্তী ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

বাগেরহাটে সুবর্ণজয়ন্তী ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

আগামীকাল বুধবার (১৭ মার্চ) জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীকে সামনে রেখে বাগেরহাটে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভিযান শুরু করেছে জেলা প্রশাসন।

মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) সকাল ৭টায় বাগেরহাট শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক আ ন ম ফয়জুল হক।

জেলা প্রশাসক নিজে ঝাড়ু হাতে নিয়ে শহীদ মিনার, ডাকবাংলোর শহীদ বৌদ্ধভূমি স্মৃতিস্তম্ভ এবং সড়কের পড়ে থাকা ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করেন। এ সময় তার সঙ্গে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, কর্মচারী, স্কুল শিক্ষক, পেশাজীবী ও জনপ্রতিনিধিরা ঝাড়ু হাতে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজে যোগ দেন। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী শহরের বিভিন্ন সড়কে পড়ে থাকা ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করেন তারা।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. রিজাউল করিম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. শাহীনুজ্জামান, বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মুছাব্বেরুল ইসলাম, বাগেরহাট সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান উন্নয়নকর্মী রিজিয়া পারভীন, বাগেরহাট ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক আহাদ উদ্দিন হায়দারসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক আ ন ম ফয়জুল হক বলেন, ‘১৭ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীকে সামনে রেখে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার একটি প্রতীকী কার্যক্রম শুরু করেছি। এই কার্যক্রমকে প্রতীকী বলার কারণ এই অর্থে বলব যে, দেখা যায় আমরা ২৫ মার্চ বৌদ্ধভূমি পরিষ্কার করি, ২১ ফেব্রুয়ারির আগে শহীদ মিনার পরিষ্কার করি, ১৬ ডিসেম্বরের আগে এসে স্মৃতিসৌধ পরিষ্কার করি। আমরা এই জায়গাটা থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছি। আগামী ২৫ মার্চ বৌদ্ধভূমির অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে আজ বৌদ্ধভূমি পরিষ্কারসহ বিভিন্ন স্থান পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কার্যক্রম শুরু করলাম।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাগেরহাটে আজ যে কার্যক্রম শুরু করলাম এটি নিয়মিত পরিচালনা করা হবে। বাগেরহাটবাসীকে বলতে চাই এখন থেকে সপ্তাহে ২-১ দিন বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় আমাদের কার্যক্রম দেখতে পাবেন। এখন থেকে আমি একটি রুটিন (রোস্টার) করে দেব। শহরের যেসব স্কুল কলেজ আছে সেসব প্রতিষ্ঠানের স্কাউট, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা সপ্তাহের একটা দিন এক একটা প্রতিষ্ঠান শহরের বৌদ্ধভূমি, শহীদ মিনার, মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কার্যক্রম পরিচালনা করবে। এই কাজটি নিয়মিত করতে পারলে শহীদদের প্রতি আমরা যে সম্মান দেখাই তা বাস্তব অর্থে পূর্ণ হবে।’

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password