লোহাগাড়ায় কিশোরীর মৃত্যু নিয়ে ধুম্ররজাল

লোহাগাড়ায় কিশোরীর মৃত্যু নিয়ে ধুম্ররজাল

লোহাগাড়ার পুটিবিলায় কিশোরী শারমিন আক্তারের (১৩) মৃত্যুর রহস্য নিয়ে ধুম্ররজাল সৃষ্টি হয়েছে। তার স্বজনরা বলছেন, শারমিন আত্মহত্যা করেনি। তাকে নির্যাতন করে মেরে গাছের সাথে ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে।

ঘটনার পর থেকে সন্দেহভাজন প্রতিবেশী আলাউদ্দিনের ছেলে ইসমাইল, স্ত্রী রোকেয়া ও রমজান আলী পলাতক রয়েছে। তাদের সাথে নিহতের পরিবারের জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছিল বলে জানা যায়। রোববার লাশের ময়নাতদন্ত শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর জানা যাবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা।

নিহতের স্বজনরা জানান, নিহতের বাড়িতে প্রতিবেশী ইসমাইল প্রায় সময় আসা-যাওয়া করতেন। ঘটনার দিন শারমিন একা খামার বাড়িতে ছিলেন। শারমিনকে নির্যাতন করে প্রতিবেশী ইসমাইলসহ দুর্বৃত্তরা হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে রাখে বলে তারা দাবি করেন। ঘরের ভেতর টেপের টুকরো পাওয়া যায়। ধারণা করা হচ্ছে দুর্বৃত্তরা নির্যাতনের আগে মুখ টেপ দিয়ে বেঁধে রাখে। স্বজনরা ঘটনার যথাযথ তদন্তপূর্বক দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।

উল্লেখ্য, শনিবার রাতে উপজেলার পুটিবিলা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের গৌরস্থান সড়াইয়া নতুন পাড়ার খামারে গাছের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়। তিনি ইউনিয়নের আট নম্বর ওয়ার্ডের নয়াপাড়া এলাকার খুলু মিয়ার মেয়ে ও গৌরস্থান আখতারুল উলুম দাখিল মাদরাসার অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী।

এ দিকে স্বজনরা জানিয়েছেন, বুধবার সকাল ১১টায় কিশোরী শারমিন হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন ও দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে একটি মানববন্ধন হওয়ার কথা ছিল। তবে প্রশাসনের অনুরোধে পরে তা বাতিল করা হয়।

এ ব্যাপারে লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাকের হোসাইন মাহমুদ জানান, এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে। এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর জানা যাবে। কিশোরীর মৃত্যু রহস্য উম্মোচন করতে পুলিশ তদন্ত করে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password