কাশবনে তরুণীকে যৌন নিপীড়ন, প্রধান আসামির আত্মসমর্পণ

কাশবনে তরুণীকে যৌন নিপীড়ন, প্রধান আসামির আত্মসমর্পণ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কাশবনে ঘুরতে যাওয়া এক তরুণীকে যৌন নিপীড়নের ভিডিও ভাইরালের ঘটনায় পলাতক থাকার পর প্রধান আসামি রহিম আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে গতকাল সোমবার আত্মসমর্পণ করেন তিনি। পরে আদালতের বিচারক সরোয়ার আলম তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালত পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিদারুল আলম এ খবর নিশ্চিত করেছেন।রহিম ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের ছয়বাড়িয়া এলাকার বাসিন্দা। যৌন নিপীড়নের ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পরই গা ঢাকা দেন রহিম। তাঁকে গ্রেপ্তারের জন্য একাধিকবার অভিযান চালায় সদর মডেল থানা পুলিশ।

এর আগে তরুণীকে যৌন নিপীড়নের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২৭ সেপ্টেম্বর রহিমের বন্ধু জুনায়েদকে আটক করে পুলিশ। পরে পুলিশের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা ও পর্নোগ্রাফি আইনের মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। বর্তমানে জুনায়েদ কারাগারে রয়েছেন।

সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরে কাশবনে ঘুরতে গিয়ে স্থানীয় বখাটে যুবকদের হাতে শ্লীলতাহানির শিকার হন এক তরুণী। পরে ওই তরুণীকে শ্লীলতাহানির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়।২৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে ফেসবুকভিত্তিক সামাজিক সংগঠন ‘আমরাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া’র পেজে ওই তরুণীকে শ্লীলতাহানির ভিডিও পোস্ট করা হয়। মুহূর্তেই ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ে।

ভিডিওতে দেখা যায়, কালো বোরকা পরা এক তরুণী শহরের পুনিয়াউট এলাকার কাশবনে ঘুরতে যান। সেখানে তাঁকে স্থানীয় কয়েকজন বখাটে উত্ত্যক্ত করছেন। তরুণীর ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে টাকা নিয়ে যান তারা। এ অবস্থায় ওই তরুণী বখাটেদের পায়ে ধরে বড় ভাই ডেকে মিনতি করেন। তারা তরুণীটির বোরকা খোলার চেষ্টা করেন এবং তরুণীর শ্লীলতাহানি করেন।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password