রেজাউলের প্রচারণায় ধর্ষণ ও ইয়াবা মামলার আসামি: নেটিজেনদের নিন্দা

রেজাউলের প্রচারণায় ধর্ষণ ও ইয়াবা মামলার আসামি: নেটিজেনদের নিন্দা

মামুন খাঁন, ক্রাইম প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী মো. রেজাউল করিমের নির্বাচনী প্রচারণায় ইয়াবা ও ধর্ষণ মামলার এক আসামি ভোটের প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গণসংযোগকালে মহানগরের বিভিন্ন জায়গায় মেয়র প্রার্থীর সাথে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে পাথরের আঘাতে মৃত্যু হওয়া শীর্ষ সন্ত্রাসী অমিত মুহুরীর সহযোগিখ্যাত, ইয়াবা ও ধর্ষণ মামলার আসামি মো.মাসুদুল হাসান চৌধুরী প্রকাশ জিকু (২৯) কে দেখে সাধারণ মানুষের মাঝে মিশ্রপ্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

যদিও বিষয়টি কেউ আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর নজরে এনেছেন কিনা তা জানা যায়নি। তবে দলীয় সমর্থক ও সাধারণ মানুষের মধ্যে এ নিয়ে নানা কানাঘোষা চলছে। কারণ সন্ত্রাসী জিকু গত বছরের ৬ ফেব্রয়ারি  নগরীর বায়েজীদ বোস্তামি থানার কুলগাঁও ট্যানারি বটতল এলাকায় আছিয়া ম্যানশনের ৬ষ্ট তলায় অস্ত্রের মুখে স্বামী সন্তানকে জিম্মি করে এক গৃহবধূকে ধর্ষণ করেন।
ওইসময় পুলিশ তার কাছ থেকে ৫১০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করেন। পরে গৃহবধূ ধর্ষণের অভিযোগ এনে সিএমপি বায়েজীদ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। একই সাথে পুলিশ বাদী হয়ে মাদক আইনে তার বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন। ঘটনাটি পত্র-পত্রিকা ও টেলিভিশনে প্রকাশিত হয়।

প্রচারণাকালে হালিশহর এলাকার ব্যবসায়ি মো. সোহেল রানা প্রকাশ্যে বলতে শোনা যায়, একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার নির্বাচনী প্রচারণায় ইয়াবা ও ধর্ষণ মামলার আসামিকে দেখে সাধারণ ভোটার ও মহিলারা হতভম্ব। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার পক্ষে এ কাজ করা কখনো সম্ভব নয়। সম্ভবত আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী বিষয়টি জানেন না।’

এদিকে বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রয়া ব্যক্ত করেছে নেটিজেনরা। নিন্দা জানানোর পাশাপাশি তাঁরা দাবি জানান, নগরীর বায়েজিদ থানার মাদক ও ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার হওয়া আসামি জিকুকে বর্জন করার। এধরনের চিহ্নিত আসামি নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করলে সুষ্ঠু ভোটের অন্তরায় হয় বলেও মনে করেন তাঁরা। পাশাপাশি নৌকা সমর্থকসহ সাধারণ ভোটাররাও এতে বিব্রত হতে পারেন।

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক মেয়র প্রার্থীর এক কাছের লোক জানান, ‘নৌকার প্রার্থী একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। মানুষ হিসেবেও মো. রেজাউল করিম অসাধারণ। সুতরাং সাধারণ মানুষ উনার পক্ষে রয়েছে। কিন্তু এসব মাদক ও ধর্ষণ মামলার আসামিরা কাছে ঘেঁষায় দলীয় নেতাকর্মীরাও অনেকটা বিচলিত।’ কর্মী-সমর্থকরা প্রকাশ্যে যা বলছেন তাতে সাধারণ ভোটার বিভ্রান্ত হতে পারে। অনেকে বলছেন এটা আগাম নমুনার বহিঃপ্রকাশ!

জানা যায়, সন্ত্রাসী জিকু সদ্য ঘোষিত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সদস্য আরসাদুল আলম বাচ্চুর ঘনিষ্টজন। তালিকাভূক্ত সন্ত্রাসী অমিত মুহুরীর সেকেন্ড ইন কমান্ড। নির্বাচনী প্রচারণায় তার অনেক ছবি ভাইরাল হয়। রাকিব নামে একজন ছাত্রনেতা অভিযোগ করে বলেন, এদের ছত্রছায়ায়  মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে জিকু গং। যে টাকা দিয়ে বড়নেতাদের ম্যানেজ করার ফলে সহজে কেউ তার বিরুদ্ধে মুখ-খোলার সাহস পাচ্ছেন না।’

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password