যশোর জেলা রিপোর্টার: আসন্ন কোরবানি ঈদকে সামনে নিয়ে "লাল বাদশা" নামে একটি দেশীয় গরু প্রস্তুত করেছেন যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার ইকরামুল ইসলাম নামে এক খামারী মালিক। দীর্ঘ দুই বছর ধরে কঠোর পরিশ্রম ও সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাবার খাওয়াইয়ে মোটাতাজা করেছেন এই গরুটিকে।
গরুটির রং লাল ধূসরবর্ণ হওয়ায় বাদশা নামের সাথে লাল মিলিয়ে এই নাম রাখেন তিনি। ইকরামুল ইসলামের খামারে আরো অনেক গরু থাকলেও একটু আলাদা করেই নিবিড় পরিচর্যায় বাদশা নামের এই গরুটিয়ে মোটাতাজা করেছেন ইকরামুল। সরেজমিনে তথ্য অনুসন্ধানে দেখা যায়, ঝিকরগাছা উপজেলার নাভারণ ইউনিয়নের চান্দেরপোল গ্রামে নিজ বাড়ির সাথেই গরু পালনের জন্য খামার গড়ে তুলেছেন এই তরুণ উদ্দোক্তা।
গত বছরের কোরবানি ঈদের জন্য প্রাথমিক ভাবে প্রস্তুত করেছিলেন এই লাল বাদশাকে। তখন তিনি আশানুরূপ দাম না পেয়ে বিক্রি না করে আবারও তিনি বাদশাকে আরও একটি বছর লালনপালন করেন। এখন এই বাদশার ওজন হয়েছে ১১শ কেজি। দ্রব্যমূল্যের এই উর্দ্ধগতির বাজার হিসাবে এখন গরুটির দাম নির্ধারণ করেছেন ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা। তবে অতি যত্নে পোষা বাদশাকে নির্ধারিত দামের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে কম বেশি করে বিক্রি করবেন বলে জানান ইকরামুল ইসলাম।
আসন্ন কোরবানি ঈদে তার এই বিশাল আকৃতির গরু লাল বাদশাকে বিক্রি করার বিষয়ে জানতে চাইলে ইকরামুল ইসলাম বলেন, আমি কোন রকম ভাবে গরু মোটাতাজা করার জন্য কোন ডাক্তারি ফর্মূলা ব্যবহার করিনি। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক ও সুষম খাবার খাওয়াইয়ে এবারের কোরবানির ঈদের জন্য প্রস্তুত করেছি। তাছাড়া বর্তমান সময় গোখাদ্যের যে পরিমান মূল্য বৃদ্ধি হয়েছে তাতে করে একাধিক গরু লালনপালন করা ছোট খামারিদের জন্য অনেক কষ্টের।
আশা করছি আমার লাল বাদশাকে সকলের পছন্দ হবে। পাশাপাশি দাম ও সুস্থ সবল প্রাকৃতিক উপায়ে গড়ে উঠা মাংশ পাবে ক্রেতা। তাই কোরবানির জন্য ভাল মানের এই গরুটিকে যাচাই করে বিক্রির জন্য ০১৯১৯-৫০৪২৬০ এই নাম্বারে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করেছেন ইকরামুল ইসলাম।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন