বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্ত বাণিজ্য আবারও শুরু করতে রাখাইন রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে প্রায় আট মাস আগে এই বাণিজ্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। মিয়ানমার টাইমস এর এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
মংডু বর্ডার ট্রেড চেম্বার অ্যান্ড কমার্সের চেয়ারম্যান উ অং মিয়ান্ট থেইন জানান, মিয়ানমার ও বাংলাদেশের সীমান্ত বাণিজ্য গত মে মাসে স্থগিত করে দেওয়া হয়। জুলাইতে তা আবারও শুরু হলে রাখাইনে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় আগস্টে তা আবারও বন্ধ করে দেওয়া হয়।
মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যে সীমান্তে যে বাণিজ্য চলে তাতে মিয়ানমারের রফতানি হয় মোট আমদানির চেয়ে বেশি পরিমাণ। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মতে কেবল এই সীমান্তেই মিয়ানমারের ব্যবসায়ীদের আধিপত্য রয়েছে। এই সীমান্তে মূলত স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পেঁয়াজ, শুটকি এবং সামুদ্রিক পণ্য রফতানি করে মিয়ানমার। উ অং মিয়ান্ট থেইন বলেন, ‘এই এলাকায় বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ব্যবসায়ীদের জীবিকা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় তারা সরকারের কাছে সীমান্ত বাণিজ্য চালু করার দাবি জানিয়েছে।’
মংডু সীমান্ত বাণিজ্য কেন্দ্র শহর এলাকায় অবস্থিত হওয়ায় মহামারির মধ্যে বাণিজ্য চালানোয় উপযুক্ত নয়। মিয়ান্ট থেইন জানান, সেই কারণে মংডু শহর থেকে দেড় মাইল দূরের কানইন চং বাণিজ্য কেন্দ্রে সীমান্ত বাণিজ্য চালুর কথা বিবেচনা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘কানইন চং বাণিজ্য কেন্দ্র আলাদা জায়গায়। আমরা যদি এই পথ ব্যবহার করি তাহলে উভয় পাশের পণ্য পরিবহনকারী চালকদের কোয়ারেন্টিন করাও সুবিধাজনক হবে। মংডু বাণিজ্য কেন্দ্রে পর্যাপ্ত জায়গা নেই আর সেখানে ঘণবসতিও রয়েছে। সেকারণে এই জায়গায় সেই সুবিধা নেই।’ উ অং মিয়ান্ট থেইন বলেন সীমান্ত বাণিজ্য পুনরায় শুরু হলে ব্যবসায়ী এবং সরকার উভয়েই এর দায়দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত রয়েছে।
মিয়ানমার সরকার যদি সীমান্ত বাণিজ্য পুনরায় শুরুর অনুমোদন দেয় তাহলে সেই সিদ্ধান্তে বাংলাদেশেরও সম্মতি থাকতে হবে। পাশাপাশি উভয় দেশের ব্যবসায়ীদেরও এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিতে হবে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন