জামিনে মুক্ত বার্সার সভাপতি

জামিনে মুক্ত বার্সার সভাপতি
MostPlay

বার্সাগেট’ কেলেঙ্কারির কারণে গ্রেফতার হওয়ার পর এক রাত পুলিশের হেফাজতে থেকে গতকাল মঙ্গলবার জামিনে মুক্তি পেয়েছেন বার্সার সাবেক সভাপতি বার্তোমেউ। গত সোমবার সকালে নিজ বাসভবন থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল বার্তোমেউকে। তার সঙ্গে গ্রেফতার করা হয় দুই পরিচালক অস্কার গ্রাউ, রোমান গোমেজ পন্তি ও পরামর্শদাতা জুমি মাসফেরারকেও। বার্তোমেউর সঙ্গে জামিন মিলেছে তাদেরও।

মূলত তদন্তের স্বার্থেই আগের রাতে পুলিশি হেফাজতে থাকেন বার্তোমেউ। তবে জানা গেছে পুলিশের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি তিনি। শুরু থেকেই বার্সাগেট মামলা অনেক গোপনীয়ভাবে অনুসন্ধান করে যাচ্ছিল কাতালুনিয়ার পুলিশ ফোর্স দ্য মোসেস দ্য এস্কুয়াদ্রা। কারণ এর আগে গত জুলাইয়ে তড়িঘড়ি করে অনুসন্ধান করায় কেলেঙ্কারি থেকে মুক্তি পেয়েছিল বার্সেলোনা। কিন্তু কিছু দিন পর পুলিশ আরো তথ্য সংগ্রহ করে বিষয়টির সত্যতার প্রমাণ পায়। ক্লাবটি ছয়টি প্রতিষ্ঠানকে তিনটি ভিন্ন কাজের জন্য মোট ছয় বার চুক্তি করেছে বলে জানায় তারা। গতকাল মঙ্গলবার অবশ্য সকালে সংক্ষিপ্তাকারে কার্যক্রমের গোপনীয়তাও তুলে নেওয়া হয়েছে। তবে বিচারকের সামনে উপস্থাপন করার আগে এ মামলা আরো দুই বার অনুসন্ধান করা হবে বলে জানিয়েছে স্প্যানিশ গণমাধ্যম।

উল্লেখ্য, গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম কাদেনাসের এ গুরুতর অভিযোগ আনে বার্তোমেউর বিরুদ্ধে। ক্লাবের ওপর সভাপতির একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তারের স্বার্থে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বর্তমান অধিনায়ক লিওনেল মেসি থেকে শুরু করে দলের সিনিয়র খেলোয়াড় এমনকি সাবেক কোচ পেপ গার্দিওলার বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচারণা চালায় বার্সেলোনা।

মূলত বার্তোমেউয়ের সুনাম রক্ষা করতে এবং যারা তার সঙ্গে একমত নন তাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে ‘আই থ্রি’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে ভাড়া করে বার্সেলোনা। মেসি-গার্দিওলাদের বিরুদ্ধে কুত্সা রটাতে ফেসবুক ও টুইটারে কয়েক ডজন অ্যাকাউন্ট তৈরি করে প্রতিষ্ঠানটি। পাশাপাশি জেরার্দ পিকে এবং দলটির কিংবদন্তি সাবেক তারকা জাভি হার্নান্দেজ ও কার্লেস পুয়োলকেও কড়া ভাষায় আক্রমণ করা হয়। বাদ পড়েননি সাবেক সভাপতি হুয়ান লাপোর্তাও। গণমাধ্যমে এই কেলেঙ্কারির নাম দেয়- ‘বার্সাগেট’।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password