চট্টগ্রামে দুদকের মামলায় পুলিশের স্ত্রী কারাগারে

চট্টগ্রামে দুদকের মামলায় পুলিশের স্ত্রী কারাগারে

চট্টগ্রামে দুদকের করা মামলায় এক পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রীকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমান এ আদেশ দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদকের আইনজীবী মাহমুদুল হক বলেন, দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের করা মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেছিলেন পুলিশপত্নী গোলজার বেগম। দুদকের পক্ষ থেকে সেই জামিনের বিরোধিতা করা হয়। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত।

দুদক সূত্র জানায়, ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ পুলিশের কনস্টেবল পদে যোগ দেন গোপালগঞ্জ সদরের কেকানিয়া এলাকার বাসিন্দা নওয়াব আলী। পুলিশে যোগদানের পর থেকে একের পর এক করে অঢেল সম্পদের মালিক হন তিনি।

২০১৩ সালে নিজ এলাকায় ৬ দশমিক ৯০ শতাংশ জমির ওপর নিজের নামে গড়ে তোলেন একটি দ্বিতল ভবন। এছাড়া চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার সলিমপুর এলাকায় ৩৫৪ শতাংশ জমি, নগরের লালখান বাজারে ১১শ’ বর্গফুটের ফ্ল্যাট ও একই এলাকায় ৪ শতাংশ জমি কেনেন স্ত্রীর নামে। এছাড়া স্ত্রীর নামে কেনেন একটি মাইক্রোবাসও।

ফলে দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদ অর্জনের অভিযোগ এনে এসআই নওয়াব আলী ও তার স্ত্রী গোলজার বেগমের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। এতে কর অঞ্চল-১ চট্টগ্রামের অতিরিক্ত সহকারী কর কমিশনার (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত) বাহার উদ্দিন চৌধুরী ও কর পরিদর্শক দীপংকর ঘোষকেও অভিযুক্ত করা হয়।

সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। এসআই নওয়াব আলী বর্তমানে পুলিশের সিআইডি ইউনিটের ঢাকায় কর্মরত।

দুদকে জমা দেয়া হিসাব বিবরণীতে স্ত্রীকে অর্জিত টাকার মালিক সাজান নওয়াব আলী। সেখানে মাছ চাষের মাধ্যমে এক কোটি ১০ লাখ টাকা আয়ের কাগজপত্র দাখিল করা হলেও বাস্তবে মাছ চাষের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। তবুও মাছ চাষ করা হয় মর্মে প্রতিবেদন দেন কর কর্মকর্তারা।

এছাড়া মিরসরাইয়ের পশ্চিম ইছাখালীর মদ্দারহাটে হারেস আহমদ, আমিনুল হক, জাহাঙ্গীর আলমসহ সাতজনের সঙ্গে চুক্তি করে একটি জলমহাল ইজারা নিয়ে মাছ চাষ করেছেন বলে হিসাব বিবরণীতে উল্লেখ করেন গোলজার। কিন্তু যেসব ব্যক্তির সঙ্গে চুক্তি দেখানো হয়, তারা আরো ২০ বছর আগেই মারা গেছেন; তদন্তে এমনটি উঠে আসে বলে জানায় দুদক।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password