লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলায় দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে এক নারীকে (৩৮) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় দুই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে গ্রেপ্তারকৃত মো. সোহেল ও মো. জামালকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে গতকাল সোমবার সকালে ভিকটিম নারী বাদী হয়ে রামগতি থানায় পাঁচজনের বিরুদ্ধ মামলা করেন। একই দিন দুপুরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে উপজেলার চরপোড়াগাছা ইউনিয়নের চরকলাকোপা গ্রাম থেকে সোহেল ও জামাল নামের দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে।গ্রেপ্তারকৃত সোহেল চরকলাকোপা গ্রামের আবু আহম্মদের ছেলে এবং জামাল একই এলাকার সৈয়দ আহম্মদের ছেলে।
স্থানীয় সূত্র ও ভিকটিম নারীর পরিবারের লোকজন জানায়, স্বামী পরিত্যক্তা ওই নারী একমাত্র মেয়েকে বিয়ে দেন। এরপর বাড়িতে তিনি একাই বসবাস করেন। এ সুযোগে আসামিরা তাঁকে দীর্ঘদিন ধরে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। সম্প্রতি এ নিয়ে তাদের সঙ্গে ওই নারীর বাকবিতণ্ডা হয়। তখন তাঁকে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় আদালতে একটি মামলাও হয়েছে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে গত ৩ অক্টোবর রাতে দরজা ভেঙে আসামিরা ঘরে ঢোকে। পরে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। শেষে রশি দিয়ে হাত-পা ও টেপ দিয়ে চোখ-মুখ বেঁধে ঘরের পেছনে ফেলে রেখে তারা পালিয়ে যায়।
পুলিশ জানায়, গত রোববার সকালে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই নারীকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় মামলার পর দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত দুই আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকি তিন আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন