বুধবার সকালে কুয়ালালামপুর ও তার আশপাশের ২২টি স্থানে চিরুনি অভিযান চালিয়ে মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্টের অনলাইন ডাটাবেজ হ্যাকার সিন্ডিকেটের ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন। ধৃত ৫ জনের মধ্যে একজনের দাতুক উপাধি রয়েছে। এই সিন্ডিকেটের তালিকায় বাংলাদেশির নাম রয়েছে প্রথমে।
এ অভিযানে ল্যাপটপ, পাসপোর্ট, নগদ অর্থসহ যাবতীয় সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের বয়স ৩৩ থেকে ৪৩ বছর।
ইমিগ্রেশন ডিরেক্টর জেনারেল দাতুক খায়রুল দাযাইমি দাউদ বলেন, মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন বিভাগের ডাটাবেজ হ্যাক করে একটি সিন্ডিকেট। সেখান থেকে জাল টেম্পোরারি ওয়ার্ক ভিজিট পাস (পিএলকেএস) প্রিন্ট করে বিতরণ করছে টাকার বিনিময়ে। ২১,৩৭৮ জন জাল পিএলকেএস রাখার অভিযোগে এদের গ্রেফতার করা হয়।
বুধবার মালয়েশিয়া দুর্নীতি দমন কমিশন (এমএসিসি) ফেডারেল টেরিটরি কুয়ালালামপুর কার্যালয়ে ইমিগ্রেশন পরিচালক এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এই সিন্ডিকেটের ৫ সদস্য বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া এবং পাকিস্তানের। গত বছর থেকে ধারাবাহিকভাবে পরিচালিত ইমিগ্রেশন অভিযানে বিদেশি নাগরিকদের আটক করা হয়েছে।
ইমিগ্রেশনের সহযোগিতায় এমএসিসির অভিযানটি সিন্ডিকেটের কার্যক্রম ও আস্তানা ভেঙে দিয়েছে। যার ফলে মালয়েশিয়া সরকারের কয়েকশো মিলিয়ন রিঙ্গিত রাজস্ব বেঁচে গেল, যা মালয়েশিয়া অবস্থানরত বিদেশি শ্রমিকদের কাছ থেকে নেয়া হতো। এই সিন্ডিকেট সদস্যরা ডাটাবেজ হ্যাক করে, ইমিগ্রেশন অফিসের পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করে এবং পরবর্তীকালে ইমিগ্রেশন অফিসের বাহির থেকে তাদের নিয়ন্ত্রণের অপারেশন সেন্টার থেকে একটি ট্রান্সমিটার ইন্সটল করে পিএলকেএস ওয়ার্ক ভিজিট পাস প্রিন্ট করত।
ইমিগ্রেশন ডিরেক্টর জানিয়েছেন, ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট ডাটাবেজসহ দীর্ঘমেয়াদি সমাধান ব্যবস্থা হিসেবে সরকার আইএমএম সিস্টেমকে প্রতিস্থাপন করবে- এমন একটি নতুন সিস্টেম নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে। জাতীয় ইন্টিগ্রেটেড ইমিগ্রেশন সিস্টেম (এনআইআইএস) নামে পরিচিত। নতুন সিস্টেমটি ডাটা বিশ্লেষণ পরিচালনায় সাজানো থাকবে এবং সকল পরিষেবা দ্রুত, দক্ষ, বিতরণ ও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।এদিকে এমএসিসির চিফ কমিশনার দাতুক সেরি আজম বাকী গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। একটি সরকারি সংস্থার ডাটাবেজে অনুপ্রেবেশ গুরুতর অপরাধ। মালয়েশিয়া দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৯ সেকশন ১৭ অনুচ্ছেদে আরও অধিকতর তদন্ত চলছে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন