মুন্সীগঞ্জ সিরাজদিখান মধ্যপাড়া তেরীপাড়া প্রবহমান খাল মাটি ও বালু ভরাট করে দখলের অভিযোগ উঠেছে। এতে প্রবহমান খালের পানিপ্রবাহ আটকে গেছে। সেই সঙ্গে খালে এলাকার বর্জ্য আটকে পরিবেশ দূষণ ঘটছে। অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় ভূমি অফিস, আওয়ামী লীগ নেতা ও কতিপয় প্রভাবশালীর সহযোগীতায় খালটি মাটি ও বালু ভরাট করে দখল করে নেয়।
সরেজমিন দেখা গেছে, মধ্যপাড়া ইউনিয়নের তেলীপাড়া গ্রামের পাশ দিয়ে প্রবাহিত খালের মুখ মাটি ও বালু দিয়ে বাঁধ দিয়ে আটকিয়ে মাটি ভরাট কাজ চলছে। কতিপয় প্রভাবশালী পার্শ্ববর্তী খালে পাইলিং পিলার ঘেঁষে বালু ভরাট করে খাল দখল করে। এতে প্রবহমান খালটি মরাখালে পরিণত হয়েছে। আশপাশের ১০ গ্রামের ময়লা আটকে পরিবেশ দূষণ ঘটছে। দক্ষিণ পাশে খালে বালু ফেলে ভরাট করার অভিযোগ উঠেছে।
ভরাট করার পর পানি সরবরাহের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে।
গ্রামবাসীর অভিযোগ, তেলীপাড়া গ্রামের ও গৃহস্থদের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র খালটি দখলে মরা খালে পরিণত হয়েছে। এছাড়াও খালসংলগ্ন দুই পারের বাসিন্দারা খালপাড়জুড়ে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করে খালটির অস্তিত্ব বিনষ্ট করেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা বাবুল মিয়া বলেন, প্রবহমান খালটি তেলীপাড়া হয়ে বালিগাঁও ডহড়ি সংযোগ খাল পর্যন্ত প্রসাশনের ও চেয়ারম্যান মেম্বারদের নির্লিপ্ততায় প্রভাবশালীরা দখল করে মরা খালে পরিণত করেছে। খালের পাড়ের অবৈধ মাটির বাঁধ উচ্ছেদ করে খালটি খনন করে খালের নাব্যতা ফিরিয়ে আনার দাবি জানাচ্ছি।
স্থানীয় কৃষক সিদ্দিকুর রহমান জানান, খালটি ভরাট করে ফেললে আমাদের জমিতে আর পানি ঢুকবে না। তেলীপাড়া গ্রামের জলিল বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ম্যানেজ করেই তার খাল ভরাটে উৎসাহী ও সাহস পেয়েছে। খাল ভরাট করে মোটা টাকায় এ জায়গা বিক্রি হবে বলে শুনেছি। সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফয়েজুল ইসলাম বলেন, এ বিষয় কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। তবে প্রবহমান খাল ভরাট করে পানিপ্রবাহ আটকানো অবৈধ। বিষয়টি সরেজমিন পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন