উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং–উন বলেছেন, তাঁর দেশের ‘সবচেয়ে বড় শত্রু’ হলো যুক্তরাষ্ট্র। আজ শনিবার দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবরে এ কথা বলা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উদ্দেশে একধরনের কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন তিনি।
কিম এমন সময়ে এ মন্তব্য করলেন, যখন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটলে হামলার ঘটনা ঘটেছে। আর এ ঘটনার জেরে সমালোচনার মুখে পড়েছেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে কিমের সম্পর্কটা ছিল বিশৃঙ্খল। শুরুতে পাল্টাপাল্টি হুমকি–ধমকি চললেও পরে দুই নেতা সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন ও আশাবাদী কথা বলেছেন। এ ছাড়া উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের ঘোষণাও দিয়েছিল। কিন্তু সেই ঘোষণা আর সফলতার মুখ দেখেনি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতাসীন দল ওয়ার্কার্স পার্টির পঞ্চবার্ষিক সম্মেলনে কিম বলেন, ‘আমাদের পররাষ্ট্রনীতি সুনির্দিষ্ট হওয়ার উচিত এবং নতুন পথে হাঁটা উচিত, যার মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে। যুক্তরাষ্ট্র আমাদের উন্নয়নের বড় এবং প্রধান শত্রু।’
উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে এই পঞ্চবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ সম্মেলনে কয়েক দিনে প্রায় ৯ ঘণ্টা বক্তব্য দিয়েছেন উন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে যে–ই ক্ষমতায় থাকুক না কেন, উত্তর কোরিয়ার ক্ষেত্রে তাদের নীতির কোনো পরিবর্তন হবে না। এ সম্মেলন থেকে বিশ্বজুড়ে ‘সাম্রাজ্যবাদবিরোধী ও স্বাধীন শক্তিগুলোর’ সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি।
কিম জং–উনের বক্তব্যে পারমাণবিক অস্ত্রের বিষয়টিও উঠে এসেছে। তিনি বলেন, উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক অস্ত্রের ‘অপব্যবহার’ করবে না। তবে ‘প্রতিরোধমূলক’ ও ‘প্রতিশোধমূলক’ পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচির আওতা আরও বাড়ানোর কথা বলেছেন তিনি। হাইপারসনিক অস্ত্র, সলিড-ফুয়েল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএমএস), গোয়েন্দা স্যাটেলাইট ও ড্রোন তৈরির কথাও বলেছেন তিনি।
উন বলেন, তাঁর দেশ নতুন অস্ত্রের পরীক্ষা ও তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছে। এর মধ্যে একাধিক যুদ্ধাস্ত্র বহনে সক্ষম রকেট, উড়োজাহাজে আঘাত হানতে সক্ষম সুপারসনিক ব্যালিস্টিক রকেটও রয়েছে। তিনি বলেন, এ ছাড়া পারমাণবিক সাবমেরিন তৈরির গবেষণার কাজও প্রায় সম্পন্ন।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন