চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচনের সুযোগে ১২ নম্বর সরাইপাড়া ওয়ার্ডে ছোটভাইকে নিজ হাতে খুন করে ‘পূর্বশত্রুতা হাসিল’ করেছেন বড়ভাই। হতভাগ্য ওই তরুণের নাম নিজাম উদ্দিন মুন্না (৩০)।ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার সময় পথরোধ করে তাকে নিজ হাতে ছুরিকাঘাত ও গলা কেটে নৃশংসভাবে হত্যা করে বড়ভাই কামরুল! এ সময় ভাইয়ের পা ধরে মাফ চেয়েও রক্ষা পাননি নিজাম।
জানা গেছে, ১২নং সরাইপাড়া ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী সাবের আহমদের সমর্থক নিজাম উদ্দিন মুন্না (৩০) বড়ভাইয়ের হাতে খুন হন। সকাল ৭টার দিকে তিনি ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার পথে বড়ভাই কামরুল দলবল নিয়ে তার পথরোধ করে। এরপর উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে নাড়িভুঁড়ি বের করে ও গলা কেটে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় তাকে।
নগরীর পাহাড়তলী থানাধীন বার কোয়ার্টার ফজু মিয়া বাইলেন এলাকার ইউসুপ আলীর বাড়ির সামনে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। মুন্নার পিতার নাম গিয়াস উদ্দিন।পরিবারের দাবি, চসিক নির্বাচনে সহিংসতা হিসেবে চালিয়ে দিতে পূর্বপরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকাণ্ড ঘটায় মুন্নার বড়ভাই সালাউদ্দিন কামরুল।
সরেজমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে বড়ভাই কামরুলের সঙ্গে বিরোধ ছিল মুন্নার। গত ছয় মাস আগে পৈতৃক জায়গা-জমির দলিল কৌশলে নিয়ে জব্দ করে রাখেন সালাউদ্দিন কামরুল। এ নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে বিভিন্ন সময় কথাকাটাকাটি হলেও কোনো সমাধান হয়নি।
চসিক নির্বাচনের পর দলিল উদ্ধারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের হুশিয়ারি দিয়েছিলেন মুন্না। আর এ ভয়েই নির্বাচনের দিনই ছোটভাইকে শেষ করে দেওয়ার পরিকল্পনা করেন বড়ভাই কামরুল।মঙ্গলবার রাত থেকে বহিরাগত লোকজন জড়ো করেন কামরুল। বুধবার নির্বাচনের দিন ঘর থেকে বের হয়ে নির্বাচনী কেন্দ্রে যাওয়ার পথে কামরুল তার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে। কামরুল আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী নুরুল আমিনের সমর্থক।
পাহাড়তলী থানার ওসি হাসান ইমাম বিডিটাইপকে বলেন, এটা নির্বাচনী সহিংসতা নয়। পারিবারিক কলহ থেকে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। নিজামের লাশ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। খুনের ঘটনায় থানায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে ওসি জানান।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন