পুতিন বিরোধী কারাবন্দী নেতা নাভালনি ২৪ দিন পর অনশন ভাঙলেন

পুতিন বিরোধী কারাবন্দী নেতা নাভালনি ২৪ দিন পর অনশন ভাঙলেন
MostPlay

রাশিয়ার পুতিন বিরোধী কারাবন্দী নেতা অ্যালেক্সি নাভালনি অবশেষে অনশন ভেঙেছেন। কারাগারে সুচিকিৎসার দাবিতে ২৪ দিন ধরে অনশন করছিলেন তিনি। শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্টে নাভালনি নিজেই অনশন ভাঙার কথা জানিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেয়া পোস্টে নাভালনি লিখেন, চিকিৎসকেরা তাকে দুবার দেখে গেছেন এবং পরীক্ষা নিরীক্ষাও করা হয়েছে। তিনি বলেন, চিকিৎসকদের পরামর্শে এ পরিস্থিতিতে আমি অনশন শেষ করছি।

এর আগে বৃহস্পতিবার মস্কোর পূর্বের ভ্লাদিমির অঞ্চলের একটি হাসপাতালে নাভালনির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন তার চিকিৎসকেরা। এরপর এক বিবৃতিতে নাভালনির পাঁচজন চিকিৎসক তার প্রতি অনতিবিলম্বে অনশন ভাঙার আহ্বান জানান। চিকিৎসকেরা সতর্ক করে বলেন, তা না হলে নাভালনি মারা যেতে পারেন। চিকিৎসকেরা জানান, নাভালনির মেডিকেল টেস্টের ফলাফলের ভিত্তিতেই একটি উপসংহারে এসেছেন তারা। কারাগারে যাওয়ার আগে ওই চিকিৎসকেরা নাভালনির চিকিৎসা করেছিলেন। তবে কারাগারে গিয়ে নাভালনিকে দেখার অনুমতি পাননি তারা।

গত ৩১ মার্চ থেকে নাভালনি কারাগারে অনশন শুরু করেন। পিঠে তীব্র ব্যথা ও পায়ের অসাড়তার জন্য পর্যাপ্ত চিকিৎসাসেবা না পেয়ে তিনি অনশনে যান। নাভালনির পরিবার, চিকিৎসক, আইনজীবী ও সহযোগীরা কিছুদিন ধরে বলে আসছিলেন যে তার স্বাস্থ্যের অবস্থা ভালো নয়। তার অবস্থা এমন যে তিনি কয়েক দিনের মধ্যে মারা যেতে পারেন। এদিকে নাভালনির কিছু হলে তার জন্য মস্কো দায়ী থাকবে বলে সতর্ক করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। উদ্বেগ জানিয়ে চিকিৎসার জন্য জরুরি ভিত্তিতে তাকে রাশিয়া থেকে বাইরের দেশে নেওয়ার আহ্বান জানান জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক বিশেষজ্ঞরা।

অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক চাপ বাড়তে থাকায় নাভালনিকে কারাগার থেকে কারা হাসপাতালে পাঠায় রুশ কর্তৃপক্ষ। সেখানেই চিকিৎসকেরা তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার সুযোগ পান। নাভালনিকে গত বছরের আগস্টে হত্যার চেষ্টা করা হয়। সে সময় তিনি সাইবেরিয়ার টমসক শহর থেকে উড়োজাহাজে করে মস্কোয় ফিরছিলেন। যাত্রাপথে উড়োজাহাজেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।

পরে অন্য দেশের বিশেষজ্ঞরাও একই কথা বলেন। বিষ প্রয়োগের জন্য সরাসরি পুতিনকে দায়ী করেন নাভালনি। তবে পুতিন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় আন্তর্জাতিক তদন্তের আহ্বানে ক্রেমলিন কর্ণপাত করেনি। ক্রেমলিনের হুমকি উপেক্ষা করে গত ১৭ জানুয়ারি দেশে ফেরেন নাভালনি। বিমানবন্দরেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। অর্থ আত্মসাতের পুরোনো একটি মামলায় গত ফেব্রুয়ারি মাসে নাভালনিকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এই দণ্ডকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিহিত করেছেন নাভালনি।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password