গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ভেতরে যুবক হত্যার রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে। নিহত ওই যুবকের পরিচয়ও শনাক্ত করেছে র্যাব। এ ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার ব্যক্তিদের জবানবন্দিতে আরেক হত্যার রহস্য উন্মোচিত হয়েছে।ওই যুবকের নাম কবির হাসান (২২)। তিনি রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার শঠিবাড়ী নয়াপাড়া গ্রামের জাবিউল ইসলামের ছেলে।
শুক্রবার রাতে লাশ উদ্ধার হওয়া ওই যুবকের পরিচয় শনাক্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে র্যাব-১ এর গাজীপুর পোড়াবাড়ী ক্যাম্প।
এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে র্যা ব। গ্রেফতার ব্যাক্তিরা হচ্ছে- ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর থানার গালিমপুর গ্রামের মো. রুস্তম আলীর ছেলে মাসুদুর রহমান, একই জেলার জালালপুর গ্রামের আব্দুল হাকিমের ছেলে আব্দুল হালিম ও যশোর জেলার চৌগাছা থানার মো. আনোয়ার হোসেনের ছেলে লালটু মিয়া।৩০ মার্চ সকালে ওই সাফারি পার্কের সীমানা প্রাচীরের ভেতর হাসানের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় শ্রীপুর থানায় মামলা করা হলে র্যাব-১ ঘটনার ছায়া তদন্ত ও গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে।
একপর্যায়ে ১ এপ্রিল র্যাবের অনসাইট আইডেনটিফিকেশন অ্যান্ড ভেরিফিকেশন সিস্টেমের (ওআইভিএস) সহায়তায় ওই যুবকের পরিচয় শনাক্ত করা হয়।তদন্তের পর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানায়, রাজধানীর পল্লবী থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাসুদুর রহমান, আব্দুল হালিম ও যশোরের চৌগাছা উপজেলার লালটু মিয়াকে গ্রেফতার করে র্যা ব। গ্রেফতার ব্যাক্তিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন।
এই চক্রটি মানবপাচার, চাকরি, প্রতারণা ও সুদের ব্যবসাসহ নানা অবৈধ কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত বলে জানিয়েছে র্যাব। এসময় তাদের ব্যবহৃত প্রাইভেটকার, বিভিন্ন ধরণের ভিজিটিং কার্ড, ১৬টি বায়োডাটা, ফাঁকা স্ট্যাম্প, পাঁচটি মোবাইল ফোন, দুটি কম্পিউটারসহ বিভিন্ন ধরণের সিল ও আইডি কার্ড এবং নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
র্যাব জানায়, গত ২৫ মার্চ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ উপজেলার বৈদ্যের বাজারের খংসারদি সেতুর নিচ থেকে উদ্ধার অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহেরও পরিচয় পাওয়া গেছে।এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গেও গ্রেফতার চক্রটি জড়িত বলে র্যাবের কাছে স্বীকার করেছে। ওই যুবকের নাম সাগর হোসেন। তিনি জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার নন্দইল হাটখোলা গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন