করোনা পরিস্থিতি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে এবার ভার্চুয়াল প্রচারে জোর দিচ্ছে বিজেপি। জনসমাগম এড়াতে মঙ্গলবার দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার চারটি জনসভা বাতিল করা হয়েছে। এ ব্যাপারে রাজ্য নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। বুঝিয়ে দিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতিতে ভার্চুয়াল প্রচারে জোর দেওয়া উচিত। করোনা পরিস্থিতেতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির কোনো সভা বাতিল না হলেও তা কঠোরভাবে কভিড বিধি মেনে করতে হবে।
বিজেপি সূত্রের খবর, কঠোরভাবে কভিড বিধি মেনেই ভোটের বাংলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাকি চারটি জনসভা হবে। কোনো সভা বাতিল হচ্ছে না। তবে ২২ ও ২৪ এপ্রিলের বদলে ২৩ এপ্রিল এক দিনেই ওই চারটি সভা করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। জনসভায় প্রবেশ নিয়ন্ত্রিত করা হচ্ছে। যে সংখ্যক মানুষ আসবেন সভাস্থলে তাঁদের সংক্রমণমুক্ত করেই মাঠের ভেতরে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, মোদির বাকি সভাগুলোতে যাতে সামাজিক দূরত্ব মানা হয় সেদিকে বিশেষ নজর দেওয়ার জন্য।
সভাস্থলে থাকবে ৫০০ লোক, মঞ্চে তিনজন। তবে, যেটা সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ সেটা হলো, এই চার সভা থেকেই রাজ্যের মোট ৬৯ আসনে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য পৌঁছে দিতে চায় গেরুয়া শিবির। আসলে ২৩ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী মালদহ, বোলপুর, কলকাতা এবং মুর্শিদাবাদের একটি কেন্দ্রে সভা করবেন। শেষ দুই দফায় বাকি যে ৬৫ আসনে নির্বাচন হওয়ার কথা সেগুলোতেও মোদির বার্তা পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে গেরুয়া শিবির। সেজন্য নেওয়া হবে ভার্চুয়াল মাধ্যমের সাহায্য। যে চার কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী ভাষণ দেবেন সেগুলো বাদে বাকি ৬৫ আসনে ভার্চুয়ালি শোনানো হবে মোদির বক্তব্য।
ওই বিধানসভাগুলোর বিভিন্ন জায়গায় বসানো হবে এলইডি স্ক্রিন। মোবাইলেও প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ শুনতে উৎসাহ দেওয়া হবে ভোটারদের। সোশ্যাল মিডিয়া বা টিভি চ্যানেলের মাধ্যমে যাতে সবাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বক্তব্য শোনেন সেই ব্যবস্থাও নেওয়া হবে। অর্থাৎ, যারা মাঠে আসতে পারবেন না তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ভার্চুয়ালি শুনতে পারবেন।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন