পৃথিবী ধ্বংস হতে আর মাত্র দেড় মিনিট বাকি

পৃথিবী ধ্বংস হতে আর মাত্র দেড় মিনিট বাকি
MostPlay

মানবসভ্যতা ধ্বংসের নির্দেশকারী, 'ডুমসডে ক্লক' থমকে রইলো ১১টা ৫৮ মিনিট ৩০ সেকেন্ডে। পৃথিবী বিনাশের চূড়ান্ত মুহূর্ত থেকে আর মাত্র দেড় মিনিট দূরে প্রতীকী এই ঘড়ির কাটা। বিভিন্ন দেশে আগ্রাসন, পরমাণু যুদ্ধের শঙ্কা আর জলবায়ু সংকটে বিশ্ব পরিস্থিতি হুমকির মুখে বলে জানান বিশেষজ্ঞরা।

মূলত মানবসৃষ্ট দুর্যোগের বিষয়ে সচেতনতা তৈরিই 'ডুমসডে ক্লক' ধারণার উদ্দেশ্য। পৃথিবী কি ধ্বংসের পথে এসে দাঁড়িয়েছে? সেই নির্দিষ্ট সময়টি ধরতে ‘ডুমস ডে ক্লক’-এর ব্যবহার অনেকদিনের৷ মনে করা হয়, এটি মধ্যরাতে, অর্থাৎ ১২টায় পৌঁছানর সময়ে পৃথিবী ধ্বংস হবে৷

আর সেই ঘড়িই এবার পৌঁছে গিয়েছে, একেবারে ধ্বংসের দোড়গোড়ায় হ্যাঁ, এর আগের বছর এই ডুমস ডে ক্লক আটকে ছিল রাত বারোটার ঠিক ৯০ সেকেন্ড আগে৷ সেটিই এ বার, অর্থাৎ এই বছরের জন্য আপেডট করা হবে মঙ্গলবার৷ মনে করা হচ্ছে, এক দিকে ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও জলবায়ু পরিবর্তনের ঘটনা এই ঘড়ির গতি বৃদ্ধি করতে পারে৷

‘ডুমস ডে ক্লক’-হল একটি প্রতীকী ঘড়ি, যেটি নির্দিষ্ট করে, কবে এই পৃথিবী ধ্বংসের মুখে পড়তে পারে৷ যে সময় মুছে যেতে পারে পৃথিবীর সভ্যতা৷ এই ঘড়িটি যত মধ্যরাতের কাছাকাছি যাবে, তত ধ্বংসের কাছাকাছিও পৌঁছবে৷ কিন্তু এটির যদি সময় পিছিয়ে যায়, তা হলে ধরতে হবে, পৃথিবীর আয়ু আরও কিছুটা বেড়ে গেল৷ কয়েকবছর ধরে এই ঘড়ির কাঁটা একেবারের নড়েনি৷

২০২১ ও ’২২ সালে এই ঘড়ির কাঁটা একটুও নড়েনি৷ এই ঘড়িটি প্রতিষ্ঠা করেছিল ব্যুলেটিন অফ অ্যাটমিক সাইন্স৷ শিকাগোর এই সংস্থাটি৷ যদিও এটি আসল ঘড়ি নয়, তবুও সংস্থাটি এক চতুর্থাংশ ঘড়ির মডেল প্রতিবছর প্রকাশ করে৷ প্রতি জানুয়ারিতে বুলেটিন অফ অ্যাটোমিক সাইন্টিস্ট ঘড়ির কাঁটা না সরলেও প্রতিবছর এটি ঘটা করে প্রকাশ করে৷ এ বছর, জানুয়ারি মাসের ২৩ তারিখ সেই ঘড়ি প্রকাশিত হবে৷ সেটি লাইভ স্ট্রিম করা হবে৷ ওই দিন বিস্তারিত এই বিষয়টি দর্শকরা দেখতে পাবেন৷

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password