ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় সাথী আক্তার (১৯) নামে এক নববধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। শুক্রবার (৫ মার্চ) সকালে তিনি উপজেলার ভান্ডুসার গ্রামে বাবার বাড়িতে আত্মহত্যা করেন।
মুঠোফোনে প্রেমের পর সাথী পরিবারের অমতে গত ৭ ফেব্রুয়ারি পালিয়ে গিয়ে কসবা উপজেলার এনামুল হোসেনকে বিয়ে করেছিলেন।
নিহত সাথী নবীনগর উপজেলার নাটঘর ইউনিয়নের ভান্ডুসার গ্রামের মদন মিয়ার মেয়ে ও কসবা উপজেলার মৌলগ্রাম ইউনিয়নের বাউরখন্ড দক্ষিণপাড়ার এনামুল হোসেনের স্ত্রী।
সাথীর পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, কসবার বাউরখন্ড দক্ষিণপাড়ার আলী হোসেনের ছেলে এনামুলের সঙ্গে মুঠোফোনে সাথী আক্তারের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সাত মাসের সম্পর্কের মাথায় গত ৭ ফেব্রুয়ারি দুজনে পালিয়ে বিয়ে করেন। পরে বিষয়টি সমাধানের জন্য উভয় পরিবার সালিশে বসে। সেখানে উভয়পক্ষের সম্মতিতে ছেলেকে ৫ লাখ টাকা যৌতুক দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
সালিশে উপস্থিত মাতবররা ২৮ ফেব্রুয়ারি মেয়েকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বামীর বাড়িতে তুলে দেয়ার দিন ধার্য করেন। তারপর যৌতুকের টাকা দেয়া, না দেয়া নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে মনোমালিন্য তৈরি হয়।
এই অবস্থায় বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) রাতে এনামুল হঠাৎ সৌদি আরব চলে যান। শুক্রবার সকালে সাথী তার বাবার বাড়িতে সবার অজান্তে ঘরের সিলিংয়ের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন।
সাথী আক্তারের ভগ্নিপতি সোহাগ মিয়া বলেন, ‘কী কারণে সাথী আত্মহত্যা করেছে তা আমার জানা নেই। তবে যৌতুকের টাকা নিয়ে এনামুলের সঙ্গে সাথীর বাকবিতণ্ডা হয়েছিল। এ ব্যাপারকে কেন্দ্র করে সাথী আত্মহত্যা করতে পারে।’
এ ব্যাপারে নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুর রশিদ বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন