শহীদ মিনার প্রবেশে বাধ্যতামূলক করোনার টিকা

শহীদ মিনার প্রবেশে  বাধ্যতামূলক করোনার টিকা
MostPlay

দেশে চলমান মহামারি পরিস্থিতিতে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২২" পালনে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রবেশ করতে করোনা টিকার সনদ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

এছাড়াও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ব্যক্তিপর্যায়ে একসাথে সর্বোচ্চ দুজন ও প্রতিটি সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ হতে সর্বোচ্চ পাঁচজন প্রতিনিধি শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে পারবে। রবিবার (২৩ জানুয়ারি) প্রশাসনিক ভবনস্থ অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী অমর একুশে উদযাপন উপলক্ষে ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

মহান ভাষা শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে সভার শুরুতে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, কোভিড-১৯ এর উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনায় যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সীমিত পরিসরে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হবে।

পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে গত বছরের ন্যায় এ বছরও জনসমাগম এড়িয়ে চলার বিষয়ে ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। একুশে উদযাপন উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম অক্ষুণ্ন রাখার স্বার্থে গৃহীত সব কর্মসূচি সুশৃঙ্খল, সুষ্ঠু ও সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য উপাচার্য সংশ্লিষ্ট সবার আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন। সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, সিনেট-সিন্ডিকেট সদস্য,

রেজিস্ট্রার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন হলের প্রভোস্ট, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, বিভিন্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক, প্রক্টর, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সমূহের প্রতিনিধি, অফিস প্রধান এবং কর্মকর্তা ও কর্মচারী সমিতিসমূহের প্রতিনিধি উপস্থিত/সংযুক্ত ছিলেন।

সভায় মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপনের কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে আইন অনুষদের ডিন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহকে সমন্বয়কারী, সমিতির সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. সাবিতা রিজওয়ানা রহমান ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়াকে যুগ্ম সমন্বয়কারী এবং প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানীকে সদস্য সচিব করে অমর একুশে উদযাপন কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়। মহান অমর একুশে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে সভায় কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটি ছাড়াও বিভিন্ন উপ-কমিটি গঠন করা হয়।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password