বেলকুচিতে অটোভ্যান চালক হত্যা মামলা'র মূল আসামীকে গ্রেফতার

বেলকুচিতে  অটোভ্যান চালক  হত্যা মামলা'র মূল আসামীকে  গ্রেফতার
MostPlay

সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি উপজেলার অটো ভ্যান চালক চাঞ্চল্যকর ফকির চাঁন (৩৯) কে হত্যা করে লাশ গুম করে ও ব্যাটারি চালিত অটোভ্যানটি ছিনতাই এর ঘটনায় মুল আসামী গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময়ে লাশ, লুন্ঠিত অটোভ্যান এবং মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (২৪ অক্টোবর) বেলা ১২ টায় সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিরাজগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ক্রাইম এন্ড অপস্ ) মোঃ সামিউল আলম।

গ্রেফতারকৃত আসামী হলেন, শ্রী সঞ্চিত চন্দ্র রাজবংশী (৩৫) জেলার বেলকুচি উপজেলার ক্ষিদ্রমাটিয়ার দক্ষিণ পাড়া গ্রামের শ্রী বলরাম চন্দ্র রাজবংশীর ছেলে। ঘটনাসূত্রে জানা যায় যে , ফকির চাঁন (৩৯) জেলার বেলকুচি উপজেলার গাবগাছি নতুনপাড়া গ্রামের মোঃ হযরত আলী প্রামাণিকের ছেলে।

তিনি পেশায় একজন অটো ভ্যান চালক। বিভিন্ন সময় অধিক লাভের আশায় রাত্রিবেলায় বিভিন্ন এলাকায় ভাড়া নিয়ে যেতেন তিনি এর ধারাবাহিকতায় গত ১৭ অক্টোবর রাত আনুমানিক ৩ টার দিকে ভাড়ার জন্য বের হওয়ার পরে আর বাড়িতে ফেরেন নাই। ২০ তারিখে এ ঘটনায় নিখোঁজ বিষয়টি ফেজবুকে স্ট্যাটাস দিলে তাৎক্ষানিক নিহতর পরিবারকে ডেকে নেন এবং ফকির চাঁনের বাবা বেলকুচি থানায় নিখোঁজ সংক্রান্তে একটি জিডি করেন।

এরপর ২৩ অক্টোবর রাত সাড়ে ৫ টার দিকে উল্লাপাড়া পৌরসভাস্থ শ্রীফলগাতী গ্রামে পাকা রাস্তার পাশে ঘাসের মধ্যে থেকে ফকির চাঁনের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ সামিউল আলম বলেন, নিহত ঘটনায় মুল আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

পুলিশ সুপার কার্যালয়ে মিডিয়া ব্রিফে জানা যায় যে, ব্যাংক ও এনজিওর কিস্তির টাকা পরিশোধ করার জন্য সঞ্চিত তার পরিচিত ভ্যান চালক ফকির চানকে গলায় রশি দিয়ে এবং লোহার রড দিয়ে রড দ্বারা গলায় উপর্যুপরি আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে রাস্তার পাশে নিপিয়ার ঘাসের মধ্যে ফেলে রেখে অটোভ্যানটি ও মোবাইল নিয়ে পালিয়ে যায়।

পরে লুন্ঠিত অটোচ্যার্জার ভ্যানটি কম মূল্যে কামারখন্দ উপজেলার ভারাঙ্গা গ্রামের রহিমের নিকট বিক্রি করে। এ ঘটনায় রহিমকে পুলিশ গ্রেফতার করে। এ হত্যা কান্ডের ঘটনায় গ্রেফতারকৃত মূল আসামী শ্রী সঞ্চিত চন্দ্র এর বিরুদ্ধে বেলকুচি থানায় মামলা দায়ের করা হয়। পরে আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হলে আদালত শুনানি শেষে কারাগারে পাঠায় ।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password