রাজধানীর কাঁচাবাজারে বেড়ে গেছে সব ধরনের মাছ ও মাংসের দাম। স্বস্তি নেই সবজির বাজারেও। ১২০ টাকায় ঠেকেছে এক হালি লেবুর দাম। সরবরাহ ঘাটতি আর যানজটসহ নানা অজুহাতে রোজা সামনে রেখে বিক্রেতারা পণ্যের দাম বাড়িয়েছেন বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।
আর মাত্র ক'দিন পরেই শুরু পবিত্র রমজান মাস। ১৪ এপ্রিল উদযাপিত হবে পহেলা বৈশাখ। দুটি উপলক্ষকে ঘিরে মাছ-মাংসহ অন্যান্য নিত্যপণ্য সদাই করতে এখন থেকেই বাজারে ভিড় করছেন ক্রেতারা। তবে দাম শুনে নাভিশ্বাস তাদের। সাধারণের নাগালের বাইরে মাছের দাম। রুই, কাতলা ও তেলাপিয়া ছাড়া ৪০০ টাকার নিচে নেই কোনো দেশি মাছ। উচ্চমূল্যের কারণে পরিমাণে কম কিনে বাড়ি ফিরছেন অনেকে।
ক্রেতারা বলছেন, মাছের দাম নাগালের বাইরে। এভাবে দাম বাড়লে রোজার মধ্যে মানুষ কি করবে। রোজার বাজার করতে এসে অল্প কেনাকাটা করেই ফিরে যেতে হচ্ছে বলেও অভিযোগ ক্রেতা সাধারণের। রোজার শুরু আর পহেলা বৈশাখ এক সঙ্গে হওয়ায় কদর বেড়েছে রুপালী ইলিশের। সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণ। চাঁদপুরের ইলিশ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে দেড় হাজার থেকে ১৭০০ টাকায়। মাছ ব্যবসায়ীরা বলছেন, সামনে পহেলা বৈশাখের হাওয়া আসায় দাম কিছুটা বেশি।
দুয়েকদিনের মধ্যে ইলিশের দাম বাজারে কেজি প্রতি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা বেড়েছে বলেও অভিযোগ এক ক্রেতার। মাংসের বাজারও চড়া। ৩০ থেকে ৫০ টাকা বেড়ে হাড়সহ গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকায়। নতুন করে দেশি মুরগির দাম না বাড়লেও বেড়ে গেছে ব্রয়লার মুরগির দাম। এজন্য সরবরাহ সংকট ও সরকারি বিধি-নিষেধকে দুষছেন বিক্রেতারা। যদিও ক্রেতারা বলছেন, রমজানকে সামনে রেখে কৃত্রিম সংকট তৈরি করা হয়েছে।
দুয়েকটি সবজির দাম কমলেও পেঁপে, কুমড়ো ও টমেটো ছাড়া অধিকাংশ সবজি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে। এক হালি বড় লেবু বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। করোনাকালীন সময়ে বাজারে পণ্যের দাম সহনীয় রাখতে পণ্যবাহী যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার পাশাপাশি বাজার মনিটরিংয়ের তাগিদ ক্রেতাদের।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন