লামিয়ার পা থেকে এখনও গুলি বের করা যায়নি

লামিয়ার পা থেকে এখনও গুলি বের করা যায়নি

খুলনায় ঠিকাদারের লক্ষ্যভ্রষ্ট গুলিতে গুরুতর আহত স্কুলছাত্রী লামিয়া হাসপাতালের বিছানায় ছুয়ে কাতরাচ্ছে। এখনও তার পা থেকে গুলি বের করা যায়নি।

রোববার (৩০ আগস্ট) দুপুরে খুলনা মেডিক‌্যাল কলেজ হাসপাতালের রেজিস্টার মিল্টন মল্লিক জানান, লামিয়ার বাম পায়ের ওপরের অংশে গুলিটি আটকে আছে। সেখানে একটা ফ্র্যাকচারও হয়েছে। এ কারণে অস্ত্রোপচার করা যাচ্ছে না। বিষয়টি অর্থপেডিক্স বিভাগকে জানানো হয়েছে। করা হয়েছে এমআরআইও। সার্জারি ও অর্থপেডিক্স বিভাগ যৌথভাবে মেডিক‌্যাল টিম গঠন করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।

এদিকে, ঘটনার দু’দিন পরও কোনও মামলা করেনি লামিয়ার পরিবার। এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় কাউকে আটকও করেনি পুলিশ। অন্যদিকে গুলি ছোড়া ঠিকাদার ইউসুফ আলী অজ্ঞাত চার চাঁদাবাজের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। 
ইউসুফ আলীর দাবি, তার ছোড়া গুলিতে নয়, চাঁদাবাজদের গুলিতেই লামিয়া আহত হয়েছে।

লামিয়ার মামা তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘মামলা করার বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত আমরা নেইনি। ঠিকাদার ইউসুফ আলীই লামিয়ার চিকিৎসার যাবতীয় খরচ বহন করছেন। অপারেশনসহ সব খরচের টাকা তিনি দেবেন বলে জানিয়েছেন।’ 

ইউসুফ আলী জানান, গত ২৮ আগস্ট বেলা সাড়ে ১১টায় চার যুবক তার কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। তারা চাঁদা নিতে এসে তাকে প্রাণ নাশের হুমকি দেন। এ সময় তিনি পিস্তল নিয়ে তাদের ধাওয়া দেন এবং দুই রাউন্ড গুলি করেন।

ঠিকাদারের দাবি, তার কাছে আসা চার যুবক দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় গুলি করেছিল। সেই গুলিই লামিয়ার পায়ে বিদ্ধ হয়েছে।

এ ঘটনায় চারজনের বিরুদ্ধে শনিবার মামলা করেছেন তিনি। কিন্তু মামলায় চাঁদাবাজদের নামও উল্লেখ করেননি ঠিকাদার ইউসুফ আলী।

খুলনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আশরাফুল আলম বলেন, যে পিস্তল দিয়ে লামিয়াকে গুলি করা হয়েছে তা জব্দ করা হয়েছে। ওই পিস্তলের লাইসেন্স রয়েছে। 

খুমেক হাসপাতালের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ বলেন, ‘লামিয়ার যেখানে গুলি লেগেছে সে জায়গাটি অনেক সেনসেটিভ। থ্রি-ডি সিটি স্ক্যান ও আল্ট্রা সোনোগ্রাম করতে দেওয়া হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর বোঝা যাবে অপারেশন করা যাবে কি না।’ 

এলাকাবাসীর অভিযোগ, ঠিকাদারের পরিচিত ও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা তার বাড়িতে এসেছিলেন। যার কারণে তিনি পরিচয় গোপন করে অজ্ঞাত নামাদের নামে মামলা করেছেন।  

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি (সাউথ) মো. শাকিলুজ্জামান বলেন, ‘ইউসুফ আলীর পিস্তলটি লাইসেন্স করা। তবে অন্যের ছোড়া গুলিতে নয় তারই ছোড়া গুলিতে আহত হয়েছে স্কুলছাত্রী লামিয়া।’ 

প্রসঙ্গত, শুক্রবার (২৮ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর মিস্ত্রি পাড়ায় দুর্বৃত্তদের লক্ষ্য করে ছোড়া ঠিকাদারের গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে স্কুলছাত্রী লামিয়ার পায়ে বিদ্ধ হয়।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password