বরগুনার পাথরঘাটার দক্ষিণ চরদুয়ানী গ্রামের একটি জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তার প্রায় দুই হাজার ইট তুলে নেয়ার চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় প্রভাবশালী যুবলীগ নেতা বদরুল হুদা ওরফে বনির বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে। তবে ওই ঘটনাটি তাৎক্ষণিকভাবে পাথরঘাটার ইউএনও সাবরিনা সুলতানাকে জানালে তার হস্তক্ষেপে ও স্থানীয়দের বাঁধায় সড়কের ইট রক্ষা পেয়েছে।

বদরুল হুদা বনি স্থানীয় চরদুয়ানী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাফিজউদ্দিন আহমেদ ফিরোজের ছেলে ও পাথরঘাটা উপজেলা যুবলীগের সদস্য। স্থানীয় মজিবর বিশ্বাস ও ইকবাল বিশ্বাস বলেন, চরদুয়ানী ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজউদ্দিন আহমেদ ফিরোজের ছেলে বদরুল হুদা বনি বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে ৩ জন শ্রমিক নিয়ে দক্ষিণ চরদুয়ানী গ্রামের ওই সড়কের ইটের সলিংয়ের প্রায় দুই হাজার ইট তুলে নেন। পরবর্তীতে ওই ইট সন্ধ্যার দিকে ট্রাকে করে বদরুল হুদা বনির নির্দেশে শ্রমিকরা ইট নেওয়ার চেষ্টা করলে স্থানীয়রা বাধা দেয়।

এ সময় ওই ঘটনা তাৎক্ষণিকভাবে পাথরঘাটার ইউএনও সাবরিনা সুলতানাকে জানালে তিনি ইট নিতে বাঁধা দিতে স্থানীয়দের অনুরোধ করেন। স্থানীয়রা ইউএনওর কথায় আশ্বস্ত হয়ে ট্রাক থেকে ইট রেখে দেন। পরবর্তীতে ইউএনও সাবরিনা সুলতানা ফোনে বদরুল হুদা বনির সঙ্গে কথা বলে সড়কটি পুনর্নির্মাণ করে দেয়ার নির্দেশ দেন। ওই নির্দেশ পেয়ে শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে ৫ জন শ্রমিক দিয়ে সড়কে ইটের সলিং দেয়া শুরু করেন। মিস্ত্রী আল আমিন বলেন, বৃহস্পতিবার দিনভর এ রাস্তার ইট বনি ভাইয়ের নির্দেশে ওঠানো হয়েছিল। শুক্রবার সকাল থেকে ওই সড়কে পুনরায় ইট বিছানোর কাজ চলছে।

অভিযোগ প্রসঙ্গে বদরুল হুদা বনি বলেন, পাশেই বেড়িবাঁধে আমার মাটির কাজ চলছে। তাই ওই বেড়িবাঁধের সোলপের জন্য সড়কের ইট তুলে পরিষদের সামনে রাখার চিন্তা করছিলাম কিন্তু স্থানীয় লোকজন তা করতে না দেয়ায় আবার ইট বিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।  এ ব্যাপারে পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা  সাবরিনা সুলতানা বলেন, স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় ইট তুলে নেয়ার কাজে বাঁধা দেয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে তার মাধ্যমেই ইট বিছানোর কাজ চলছে।