এবার টিকা আমদানি করতে যাচ্ছে ভারত

এবার টিকা আমদানি করতে যাচ্ছে ভারত

করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে দিশেহারা ভারত এখন টিকা আমদানির পথে হাঁটছে। বিশ্বের বৃহৎ টিকা উৎপাদক ও রফতানিকারক দেশটি বলছে, পশ্চিমা দেশগুলো ও জাপানে অনুমোদিত কোভিড-১৯ রোগের টিকার জরুরিভিত্তিতে অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে। এতে ফাইজার, জনসন অ্যান্ড জনসন ও মডার্নার টিকার সম্ভাব্য আমদানির পথ সহজ হয়ে যাবে।

জরুরি অনুমোদনের আগে কোম্পানিগুলোকে টিকার স্থানীয় পর্যায়ে ছোট আকারে নিরাপত্তা পরীক্ষা করতে হয়, নতুন উদ্যোগে তা বাদ দেওয়া হবে। চলতি সপ্তাহে দেশটিকে প্রতিদিন গড়ে লাখের ওপর মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তের দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পরেই এখন ভারতের অবস্থান। এরপরে রয়েছে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিল।

এর আগে বিভিন্ন দেশে টিকা রফতানি করতে দেখা গেছে ভারতকে। এবার নিজেদের চাহিদাই আকাশচুম্বী। বেশ কয়েকটি রাজ্য মারাত্মকভাবে টিকা সংকটে পড়েছে। ভারতের টিকা আমদানির এই প্রয়োজন কয়েক ডজন দরিদ্র দেশের জন্য আঘাত হিসেবে দেখা হচ্ছে। কারণ নিজেদের টিকা কার্যক্রমের জন্য এসব দেশ ভারতের ওপর নির্ভরশীল।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও জাপানের কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত টিকা জরুরিভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দেওয়া হতে পারে।

সংবাদ সম্মেলনে ভারতের জ্যেষ্ঠ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বিনোদ কুমার পাল বলেন, এসব দেশের নিয়ন্ত্রক সংস্থা যদি কোনো টিকার অনুমোদন দেয়, তবে তা ব্যবহারে জন্য আমাদের দেশেও নিয়ে আসতে আমরা প্রস্তুত। তিনি আরও বলেন, আমরা ফাইজার, মডার্না, জনসন অ্যান্ড জনসন এবং অন্যান্য টিকা প্রস্তুতকারকদের যত দ্রুত সম্ভব ভারতে আসার প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছি।

ভারতে এ যাবত এক কোটি ৩৫ লাখ মানুষ প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে পজিটিভ হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রে যেটা তিন কোটি ১০ লাখ আর ব্রাজিলে আক্রান্তের সংখ্যা এক কোটি ৩৪ লাখ। গত ফেব্রুয়ারিতে ফাইজার ভারতে তাদের টিকার জরুরি অনুমোদনের আবেদন করেছিল, যেটি প্রত্যাহার করা হয়। ফাইজার থেকে বলা হয়, এখন তারা আবার ভারতে তাদের টিকার জরুরি অনুমোদন পেতে কাজ করবে।

এদিকে রাশিয়ার স্পুটনিক-ভি টিকারও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে ভারতে। স্পুটনিভ-ভি টিকার অফিশিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টের এক পোস্টে বলা হয়েছে, বিশ্বের দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারত। স্থানীয় পর্যায়ের তিনটি ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায় পজিটিভ ফল আসায় ষাটতম দেশ হিসেবে তারা এই টিকার জন্য নিবন্ধন করেছে। ৩০০ কোটি জনসংখ্যার ৬০টি দেশে স্পুটনিক-ভি টিকার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password