বিয়ের প্রলোভন দিয়ে কিশোরী অপহরণ;গ্রেফতার-২

বিয়ের প্রলোভন দিয়ে কিশোরী অপহরণ;গ্রেফতার-২
MostPlay

বিয়ের প্রলোভন দিয়ে মৌলভীবাজারের দক্ষিণ বেকামুড়া কামালপুর থেকে এক কিশোরীকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার পর অবশেষে সিলেটের ওসমানীনগরে অপহৃত কিশোরী নিপাকে (১৫) উদ্ধার করা হয়েছে।

দুই অপহরণকারীকে এসময় আটক করে থানা পুলিশ। 

অপহরণকারী দুইজন হলেন আল আমিন (১৮) এবং বাবুল মিয়াকে(২০)।

এ ঘটনায় অপহৃত কিশোরীর পিতা মৌলভীবাজারের দক্ষিণ বেকামুড়া কামালপুর এলাকার মৃত আনর মিয়ার ছেলে নজমুল মিয়া বাদি হয়ে শুক্রবার ২৭ আগস্ট  দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আল আমিন, বাবুল মিয়া সহ অজ্ঞাতনামা আরো দুইজনকে আসামি করে ওসমানীনগর থানায় মামলা (মামলা নং-১৫) দায়ের করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃত আল আমিন ওসমানীনগরের সাদিপুর ইউনিয়নের কালনিচর গ্রামের আব্দুল হোসেনের ছেলে এবং একই উপজেলার গোয়ালাবাজার ইউনিয়নের মুতিয়ারগাঁও গ্রামের মৃত খালেক মিয়ার ছেলে বাবুল মিয়া। গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।

মামলার এজাহারসূত্রে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আল আমিন বিগত কিছু দিন পূর্বে মৌলভীবাজারের কামালপুর গ্রামের কিশোরী নিপাদের পাশের বাড়িতে কাঠ মেস্ত্রীর কাজ করতে যায়। এ সময় নিপার সাথে আল আমিনের পরিচয় এবং পরিচয়ের পর প্রেমের সম্পর্ক ঘটে। আল আমিন নিপাকে বিয়ের প্রলোভন সহ নানা ভাবে ফুসলিয়ে তার কয়েকজন সহযোগীদের নিয়ে গত ২৬ আগষ্ট রাত ৯টার দিকে নিপাকে কামালপরুস্থ বাড়ি থেকে অপহরণ করে নিয়ে আসে। শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে ওসমানীনগরের উছমানপুর ইউপির ইছামতি গ্রামে রাস্তা দিয়ে অপহৃত নিপাকে নিয়ে আল আমিন ও বাবুল মিয়া যাবার প্রাক্কালে স্থানীয় জনগন তাদের আটক করে ওসমানীনগর থানা পুলিশের নিকট সোপর্দ করে। খবর পেয়ে অপহৃত কিশোরীর পিতা নজমুল মিয়া ওসমানীনগর থানা এসে অপহরণকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

অপহরণকারী কিশোরী উদ্ধার ও গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে ওসমানীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শ্যামল বণিক বলেন, গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। আর উদ্ধারকৃত কিশোরীকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ন স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার(ওসিসিতে) ভর্তি করা হয়েছে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password