ভারত সরকার পিয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর পিয়াজের আমদানি শুরু করে দেশের আমদানিকারকরা। তবে দেশের পিয়াজ চাষিদের ক্ষতির কথা চিন্তা করে আমদানিতে আইপি (ইমপোর্ট পারমিট) বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ সরকার। আর এতে করে আগে করা আইপি দিয়ে গত মাসে পিয়াজ আমদানি শুরু করে হিলি স্থলবন্দরের কিছু আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান। আমদানির ফলে স্থানীয় খুচরা বাজারে কমে যায় দাম।
প্রতিকেজি পিয়াজ বিক্রি হয়েছে ২০ থেকে ২২ টাকা কেজি দরে। তবে সম্প্রতি আইপি সংকটের অযুহাতে হিলি স্থলবন্দরে কমেছে ভারত থেকে পিয়াজ আমদানি। চাহিদার তুলনায় আমদানি কমে যাওয়ায় প্রতিকেজি পিয়াজ কেজিতে ৮ টাকা বেড়ে ২৭-২৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। হঠাৎ আমদানি সংকট অযুহাতে রমজানের আগে দাম বেড়ে যাওয়ায় খানিকটা বিপাকে পড়েছেন পাইকার ও সাধারণ ক্রেতারা। অপরদিকে দিনাজপুর শহরের বাজারে পিয়াজ কেজি প্রতি ৩০-৩৮ টাকা বিক্রি হচ্ছে। রাসেল নামের এক পাইকার জানান,
হিলি স্থলবন্দর থেকে পিঁয়াজ কিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করেন তিনি। হঠাৎ করে আমদানি কমে যাওয়ায় দাম বেড়েছে। খুচরা বাজারে পিয়াজ কিনতে আসা রাশেদুলসহ কয়েকজন বলেন, রমজানের আগে প্রতি বছর পিয়াজের দাম বাড়ে। এবারো বেড়েছে। বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানান তারা।
পিয়াজ আমদানীকারক ও হিলি স্থলবন্দর আমদানী-রপ্তানীকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ জানান, রমজান মাসে দেশের বাজারে পিয়াজের সরবরাহ ঠিক ও কম দামে ভোক্তাদের দিতেই আগের আইপি দিয়ে পিয়াজ আমদানি শুরু করি। তবে আইপি আমাদের শেষের দিকে এজন্য আমদানি কমে যাচ্ছে। যেখানে কয়েকদিন আগে এই বন্দরে ২০ থেকে ২৫ ট্রাক পিয়াজ আমদানি হয়েছে। এখন সেখানে আমদানি হচ্ছে দুটি, তিনটি করে। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে সরকার আইপি খুলে দিলে আবারো পিয়াজের আমদানি বাড়বে, সেই সাথে বাজারে কমে আসবে দাম।উল্লেখ্য, হিলি কাষ্টমসের তথ্যমতে, গত দুই দিনে ভারতীয় ৫ ট্রাকে ১শ ২৫ মেট্রিক টন পিয়াজ আমদানি হয়েছে এই বন্দর দিয়ে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন