অবৈধ বিটকয়েন ব্যবসায়ী কয়েন সুমন গ্রফতার

অবৈধ বিটকয়েন ব্যবসায়ী কয়েন সুমন গ্রফতার
MostPlay

বাংলাদেশে অবৈধ বিটকয়েন ব্যবসার মূলহোতা ইসমাইল হোসেন সুমন ওরফে কয়েন সুমনের রয়েছে একাধিক ভার্চুয়াল ওয়ালেট। যেখানে মজুদ রয়েছে বিটকয়েনে অর্জিত লক্ষাধিক ডলার। শুধু তাই নয়, বিটকয়েন ব্যবসার মাধ্যমে তিনি গড়েছেন ফ্ল্যাট, প্লট, সুপারশপসহ নানা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। আউটসোর্সিং মার্কেটিংয়ের আড়ালেই চলছিল অবৈধ বিটকয়েন ব্যবসা।

রবিবার (২ মে) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে রাজধানীর উত্তর বাড্ডা এলাকার বেসিক বিজ মার্কেটিং নামের প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করে র‌্যাব-১-এর একটি দল। সেখান থেকে বাংলাদেশে অবৈধ বিটকয়েন ব্যবসার মূলহোতা ও অনলাইনে প্রতারণার অভিযোগে ইসমাইল হোসেন সুমন ওরফে কয়েন সুমনসহ ১২ জনকে আটক করা হয়।

গ্রেফতার অন্যরা হলেন- আবুল বাশার রুবেল (২৮), আরমান পিয়াস (৩১), রায়হান আলম সিদ্দিকি (২৮), মো. জোবায়ের (১৮), মেহেদী হাসান রাহাত (২৪), মেহেদী হাসান (১৯), রাকিবুল হাসান (২৩) রাকিবুল ইসলাম (২২), সোলাইমান ইসলাম (২১), মো. জাকারিয়া (১৮) ও আরাফাত হোসেন (২২)। তাদের কাছ থেকে ২৯টি ডেস্কটপ কম্পিউটার, তিনটি ল্যাপটপ, ১৫টি মোবাইল ফোন, একটি ট্যাবলেট ফোন ও বিবিধ নথিপত্র জব্দ করা হয়।

সোমবার (৩ মে) বিকেল সাড়ে ৪টার কাওরান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাব সদর দফতরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

তিনি বলেন, চক্রটির মূল হোতা ইসমাইল হোসেন সুমন ওরফে কয়েন সুমন। সুমন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞানে মাস্টার্স করেন। ২০১৩ সালে ছোট্ট একটি দোকানে বাচ্চাদের খেলনা ও কাপড়ের ব্যবসা শুরু করেন। সেখান থেকে তিনি শুরু করেন বিটকয়েনের ব্যবসা। গড়ে তোলেন বেসিক বিজ মার্কেটিং নামক অনলাইন আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠান। আর এর আড়ালে অবৈধ বিট কয়েন ও অনলাইনে বিভিন্ন প্রতারণার ফাঁদ তৈরি করে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করে আসছিলেন সুমন।

ওই ব্যবসার স্বত্বাধিকারী ও মূলহোতা সুমনের শুরুতে একটি ছোট অফিস ছিল। সেখান থেকে বাড্ডায় ৩টি ফ্লোরে ৩২ জন কর্মচারী নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন তিনি। প্রতিষ্ঠানটি তিনটি শিফটে ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে। ভার্চুয়াল ওয়ালেটের মাধ্যমে অবৈধ ও প্রতারণামূলক ব্যবসা বিট কয়েনের মাধ্যমে সুমন বিপুল অর্থসম্পদের মালিক হয়েছেন। তার ঢাকায় রয়েছে দুটি ফ্ল্যাট, প্লট, সুপারশপের ব্যবসা।

এক বছরে ১৫ লক্ষাধিক ডলার ভার্চুয়াল ওয়ালেটে লেনদেন

সুমনের রয়েছে একাধিক ভার্চুয়াল ওয়ালেট। যেখানে বিটকয়েনের মাধ্যমে অর্জিত লক্ষাধিক ডলার মজুদ রয়েছে। গত এক বছরে তিনি বিটকয়েনের মাধ্যমে অবৈধভাবে ১২ থেকে ১৫ লাখ ডলার লেনদেন করেছেন। বিটকয়েনে আন্তর্জাতিক জুয়ারিদের সঙ্গে যোগাযোগসহ ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতিতে জড়িত ছিল সুমন। গ্রেফতার অপর ১১ জন সুমনের প্রতারণা, জালিয়াতি ও অবৈধ বিটকয়েন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ও তার সহযোগী। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password