যে লক্ষণগুলো দেখা দিলে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি হবেন

যে লক্ষণগুলো দেখা দিলে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি হবেন

করোনার লক্ষণ হালকা থেকে মারাত্মক হতে পারে। এ জন্য সব সময় সতর্ক থাকতে হবে। শনাক্ত হওয়ার প্রথম সপ্তাহটা অনেক জরুরি কারণ এ সময়ই বোঝা যাবে বাড়িতে কোয়ারেন্টিনে থাকলে হবে নাকি হাসপাতালে চিকিৎসা প্রয়োজন। কোন পরিস্থিতিতে কী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে, চলুন জেনে নেওয়া যাক।

শ্বাস নিতে সমস্যা: শ্বাসকষ্ট এবং বুকে ব্যথা করোনার মারাত্মক সংক্রমণের লক্ষণ হতে পারে। করোনাভাইরাস একটি শ্বাস-প্রশ্বাসের সংক্রমণ যা সুস্থ কোষগুলোকে আক্রমণ করে। যদি আপনার শ্বাস নিতে কষ্ট হয়, হাঁটতে সমস্যা হয় তবে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন। এ ক্ষেত্রে কোনোভাবেই দেরি করা যাবে না।

অক্সিজেনের মাত্রা ওঠানামা: করোনার লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই একটি ভালো মানের পালস অক্সিমিটার সঙ্গে রাখুন। লক্ষণ থাকলে কোভিড নিউমোনিয়া দেখা দিতে পারে যা থেকে ফুসফুসে সংক্রমণ হয়। প্রায়ই যদি অক্সিজেনের মাত্রা ওঠানামা করে তবে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে আলাপ করুন এবং সে ক্ষেত্রে আপনার হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া প্রয়োজন।

বিভ্রান্তির সম্মুখীন: করোনা মস্তিষ্ক ও নার্ভের ওপরেও প্রভাব ফেলে। ঘুম কম হওয়া, বিভ্রান্তিতে পড়া, ভুলবাল বকা করোনার তীব্রতর লক্ষণ বলছেন বিশেষজ্ঞরা। রোগী যদি তার স্বাভাবিক কাজ করতে সমস্যায় পড়ে তাহলে বুঝতে হবে পরিস্থিতি গুরুতর। চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

নীলচে ঠোঁট: অক্সিজেনের স্যাচুরেশন কমে গেলে মুখ আর ঠোঁটের পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে। এটি একটি ভয়াবহ লক্ষণ। এমন লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ দিতে হবে।

বুকে ব্যথা: যে কোনো ধরনের বুকে ব্যথাকে হালকাভাবে নেওয়া উচিত না। করোনা ফুসফুসের মিউকোসাল লাইনিংগুলোকে আক্রমণ করে এবং অনেক ক্ষেত্রে এটি বুকে ব্যথার কারণ হয়। আপনার বুকে ব্যথা যদি অসহনীয় হয় তবে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

এ ছাড়া করোনার সাধারণ কিছু লক্ষণ রয়েছে, যেমন- জ্বর, গলাব্যথা, খুশখুশে কাশি, গলাব্যথা, শরীর ব্যথা, মাথাব্যথা, ডায়রিয়া ইত্যাদি। সব লক্ষণ মনিটর করে একজন করোনা রোগীকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া প্রয়োজন নাকি বাড়িতেই চিকিৎসা সম্ভব।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password