চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে গৃহকর্তার দুই ছেলের ধর্ষণে এক কিশোরী গৃহপরিচারিকা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। কিশোরীর গর্ভপাতও করানো হয়েছে। এ নিয়ে গত মঙ্গলবার রাতে সালিস করার সময় এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বাঁশখালীর ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের লস্করপাড়ার মকসুদুল হকের দুই ছেলে শহীদুল ইসলাম ও জিয়াউল হক। শহীদুল গ্রেপ্তার হয়েছেন। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরী বাঁশখালী থানায় মামলা করেছেন।
পুলিশ ও গ্রামবাসী জানায়, শহীদুল ও জিয়াউল একে অন্যের অজান্তে ছয় মাস ধরে বাঁশখালীর নিজ বাড়ি এবং চট্টগ্রামের বাকলিয়া থানাধীন ভাড়া বাসায় কিশোরীটিকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে আসছিলেন। পরে কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে স্থানীয় ছৈয়দুল আলমের স্ত্রী নার্গিস আক্তারের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে গত সোমবার তাঁর গর্ভপাত ঘটানো হয়।
বিষয়টি জানাজানি হলে মঙ্গলবার রাতে মিয়া বাজারে ব্যক্তিগত কার্যালয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর আজগর হোসেন সালিসি বৈঠকের উদ্যোগ নেন, কিন্তু অভিযুক্তদের পুলিশে না দিয়ে সালিস করায় গ্রামবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলে কাউন্সিলর থানায় খবর দেন।
মামলার এজাহারে শুধু শহীদুলকে আসামি করা হয়েছে। গর্ভপাত ঘটানো নার্গিস আক্তারকে ১ নম্বর সাক্ষী করা হয়েছে। থানার উপপরিদর্শক নাজমুল হক বলেন, অন্য অভিযুক্ত জিয়াউল বাকলিয়া থানা এলাকায় ঘটনা ঘটিয়েছেন। তাই তাঁর নামে বাকলিয়া থানায় মামলা করতে হবে।
বাকলিয়া থানার ওসি নাজিম উদ্দিন বলেন, এজাহার দিলে মামলা নেওয়া হবে। বাঁশখালী থানার ওসি মোহাম্মদ রেজাউল করিম মজুমদার বলেন, বুধবার চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কিশোরীটির ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন