৮৭ বছর বয়সী মাকেও পেটালেন হেফাজত কর্মীরা!

৮৭ বছর বয়সী মাকেও পেটালেন হেফাজত কর্মীরা!

মুন্সিগঞ্জে হেফাজত-পুলিশের সংঘর্ষ চলাকালে আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের পর ভাইসহ ৮৭ বছরের বৃদ্ধা মাকে বেধড়ক পিটিয়েছে হেফাজতের কর্মীরা। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গত ২৯ মার্চ রাজানগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম আলমগীর কবিরের মধুপুর গ্রামের বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুরের পর তার ৮৭ বছরের রত্মগর্ভা বৃদ্ধা মা নুর জাহান বেগম ও সেজু ভাই মুনসুর সাদীকে (৫৫) পিটিয়ে আহত করে তারা। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার শিকারপুর এলাকায় গত ২৯ মার্চ পুলিশ-হেফাজত কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষের ঘটনায় হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর আব্দুল হামীদ (মধুপুরী পীর) আহত হন। তার গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর রাজানগর ইউনিয়নের মধুপুর মাদ্রাসায় ছড়িয়ে পড়লে হেফাজতের নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীদের বাড়িতে হামলা ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালায়। 

রাজানগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এ.কে. এম আলমগীর কবিরের মধুপুর গ্রামের বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়ির দুটি বিল্ডিংয়ে ঢুকে ৫টি কক্ষের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় বাড়িতে অবস্থান করছিলেন আলমগীর কবিরের ৮৭ বছরের রত্মগর্ভা বৃদ্ধা মা নুর জাহান বেগম ও সেজু ভাই মুনসুর সাদী (৫৫)। দুজনকেই নির্মমভাবে পেটানো হয়। গুরুতর আহত নূরজাহান বেগমকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ও মুনসুর সাদীকে রাজধানীর ক্রিসেন্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

জানা গেছে, আলমগীর কবিরের রত্নগর্ভা মা নূরজাহান বেগম ৬ ছেলে ৩ মেয়ে সন্তানের মা। ছেলের মধ্যে একজন কোরআনে হাফেজ, একজন সাবেক মেজর জেনারেল, একজন যুক্তরাষ্টের বিশিষ্ট চিকিৎসক, একজন অগ্রণী ব্যাংকের সাবেক মহাব্যবস্থাপক ও দুজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী।  নুরজাহান বেগমকে ১৯৯৫ সালে রাজানগর ইউনিয়নের সৈয়দপুর যুব সংঘের পক্ষ থেকে রত্নগর্ভা মা হিসেবে সম্মাননা প্রদান করা হয়।

এ ছাড়া নুরজাহান বেগম সারা জীবন মানুষের কল্যাণে কাজ করছেন। আহত এই মা বলেছেন, ১৯৭১ সালের পাক হানাদার বাহিনীর হামলাকে হার মানিয়েছে হেফাজতের লোকজন।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password