হেফাজতে ইসলামের অর্থ জোগানদাতা ৩১৩ জনকে চিহ্নিত

হেফাজতে ইসলামের অর্থ জোগানদাতা ৩১৩ জনকে চিহ্নিত

হেফাজতে ইসলামের অর্থ জোগানদাতা ৩১৩ জনকে চিহ্নিত করেছে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা । মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর পুলিশ সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, হেফাজতে ইসলামের সদ্য বিলুপ্ত হওয়া কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মামুনুল হকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৬ কোটি টাকার লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।

এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, হেফাজতে ইসলামের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির আমির জুনায়েদ বাবুনগরীর ছেলের বিয়েতেই সাবেক আমির আল্লামা শফীকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা হয়। ওই বিয়ের অনুষ্ঠানে মামুনুল হক, জুনায়েদ আল হাবিবসহ কয়েকজন নেতার বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে আল্লামা শফীকে সরিয়ে বাবুনগরীকে আমির করার পরিকল্পনা হয়। ২৬ মার্চ থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ধারাবাহিক সহিংসতার ঘটনায় হেফাজতে ইসলামের সংশ্লিষ্ট নেতাদের পর্যায়ক্রমে গ্রেফতার করা হচ্ছে। সম্প্রতি নাশকতার অভিযোগে ঢাকাসহ সারাদেশে বেশ কিছু মামলা রুজু হয়। এর মধ্যে ঢাকায় ১২টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া ২০১৩ সালে হেফাজতের শাপলা চত্বরে সমাবেশকে কেন্দ্র করে সহিংসতা নাশকতার ঘটনায় মোট ৫৩টি মামলা দায়ের হয়। মোট ৬৪টি মামলা তদন্তাধীন আছে। 

এ পর্যন্ত হেফাজতে ইসলামের ১৬ জন কেন্দ্রীয় নেতাকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপি। এরই মধ্যে রোববার (২৫ এপ্রিল) হেফাজতের কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। গত ১৮ এপ্রিল দুপুরে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে মামুনুল হককে নাশকতার মামলায় গ্রেফতার করে পুলিশ। এর পর তাকে কয়েক দফায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সোমবার শাপলা চত্বর ও বাইতুল মোকাররমে সহিংসতার মামলায় তার ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়। ২৫ এপ্রিল পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মামুনুলের সঙ্গে পাকিস্তানি জঙ্গিগোষ্ঠীর ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। তিনি দেশে বড় ধরনের অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টায় ছিলেন। তিনি সহ হেফাজত নেতারা রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের চেষ্টায় ছিলেন।

পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার হারুন অর রশিদ সাংবাদিকদের বলেন, ২০০৫ সালে পাকিস্তান সফরের সময় মামুনুল ও তার শ্যালক নিয়ামাতুল্লাহ ওই জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ওই সময়ে এই দুজন পাকিস্তানে প্রায় ৪৫ দিন অবস্থান করেন এবং একটি রাজনৈতিক দলের কাঠামো সংগ্রহ করেন। যেটি মামুনুল পরে হেফাজতে প্রয়োগের চেষ্টা করেন। মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। কদিন আগে নারায়ণগঞ্জের রয়্যাল রিসোর্টে নারীসহ আটক হওয়ার পর তাকে নিয়ে দেশব্যাপী আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়। মামুনুল অবশ্য দাবি করেছেন, তার সঙ্গে থাকা নারী তার দ্বিতীয় স্ত্রী।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password