নীলফামারীর সৈয়দপুরে প্রেমিকাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে প্রেমিক। আর এ ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে তার বন্ধুরা। মেয়েটির বিয়ের পর এ ভিডিও দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল শুরু করে (প্রেমিক )মুন্না ও তার বন্ধুরা। এ ঘটনায় ধর্ষকসহ ৩ বন্ধুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার ওই৩ বন্ধুকে পৃথক স্থান থেকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২ মিনিট ৩০ সেকেন্ডের ধর্ষণের ভিডিও ক্লিপ উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো উপজেলার বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের লক্ষণপুর চড়কপাড়ার আব্দুল মালেকের পুত্র মুন্না একই গ্রামের পাঠানপাড়ার শওকত আলীর পুত্র আলাল ও আমজাদের মোড়ের শহিদুল ইসলামের পুত্র তৌফিক ইসলাম তুহিন। এরা ৩ জনই পরস্পরের বন্ধু। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সৈয়দপুরের বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের লক্ষণপুর চড়কপাড়ার মাদ্রাসাপড়ুয়া ছাত্রীর সঙ্গে ২০১৮ সালে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে মুন্নার। একই বছরের ৭ সেপ্টেম্বর পাঠানপাড়ার আলালের বাড়িতে প্রেমিকাকে ডেকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে প্রেমিক মুন্না। এ সময় প্রেমিক কৌশলে ওই ধর্ষণের ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে রাখে।
২০২০ সালের ২৪ জানুয়ারি একই গ্রামের আশিকুর রহমানের সঙ্গে ওই মাদ্রাসাছাত্রীর বিয়ে সম্পন্ন হয়। তাদের সুখের সংসার ভালোই চলছিল। গত ১০ এপ্রিল রাতে মুন্নার বন্ধু তুহিন ওই ছাত্রীর সঙ্গে দেখা করে তাকে জানায় মুন্নার সঙ্গে তার ধর্ষণের একটি ভিডিও ক্লিপ রয়েছে। এ কথার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য গত ১৪ এপ্রিল ওই ছাত্রী শহরের প্লাজা মার্কেটে একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্টে তুহিনের সঙ্গে দেখা করে। তুহিন একটি ফেসবুক আইডি থেকে ২ মিনিট ৩০ সেকেন্ডের ওই ভিডিও ক্লিপটি দেখায় ওই ছাত্রীকে। এ সময় সেটি ডিলিট করার জন্য অনুরোধ করলে তুহিন ২ লাখ টাকা অথবা দৈহিক মেলামেশা করার প্রস্তাব দেয় তাকে। এতে অসম্মতি জানিয়ে নিজ বাড়িতে ফিরে যায় ওই ছাত্রী।
গত শনিবার আবারও তুহিন মোবাইল ফোনে ওই ছাত্রীকে টাকা অথবা দৈহিক মেলামেশার প্রস্তাব দেয়। এতে রাজি না হলে ভিডিও ক্লিপ ইন্টারনেট ও ফেসবুকে ছেড়ে দেয়ার হুমকি প্রদান করে। এ ঘটনার পর বিকালে ওই ছাত্রী বাদী হয়ে সাবেক প্রেমিকসহ তিন বন্ধুকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পরপরই শহরের পাঁচমাথা মোড় থেকে তৌফিক ইসলাম তুহিন, আমজাদের মোড় থেকে আলাল এবং নিজ বাড়ি থেকে মুন্নাকে গ্রেফতার করা হয়। এ ব্যাপারে সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল হাসনাত খান জানান, ভিকটিমকে রোববার শারীরিক পরীক্ষার জন্য নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালে এবং গ্রেফতারকৃত আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন