র‌্যাব-৮ ফরিদপুর ক্যাম্পের হাতে অজ্ঞান পার্টির পাঁচ সদস্য আটক

র‌্যাব-৮ ফরিদপুর ক্যাম্পের হাতে অজ্ঞান পার্টির পাঁচ সদস্য আটক
MostPlay

ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুর ক্যাম্প কর্তৃক রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ ঘাট থানাধীন এলাকা হতে সংঘবদ্ধ অজ্ঞান পার্টি চক্রের ০৫ সদস্য আটক করেছে র‌্যাব-8, ফরিদপুর ক্যাম্প, সিপিসি-২। অজ্ঞান পার্টি চক্রের সদস্যরা খুলনা জেলার খালিশপুর থানার খালিশপুর এলাকার মৃত মফিজ খাঁ এর পুত্র মোঃ মাসুদ খাঁ (৪০), দাকোপ থানার গুনাড়ী এলাকার মোঃ মুক্তার মীর এর পুত্র মোঃ আলমগীর খাঁন (২৮), ডুমুরিয়া থানার রাজাপুর এলাকার মোঃ আমজাদ গাজী এর পুত্র মোঃ রিপন গাজী (৩০), মোঃ লিটন গাজী (২৮) এবং জামালপুর জেলার শরিষাবাড়ী থানার পিগনা এলাকার মোঃ আব্দুল মান্নান মন্ডলের পুত্র মোঃ কিরা মিয়া (৩৮)।

ফরিদপুর র‌্যাব ক্যাম্প জানতে পারে যে, ঈদ-উল আযহাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অসাধু ব্যক্তি নানা ধরনের কৌশল অবলম্বন করে সর্বসাধারনের নিকট হতে বিপুল পরিমান অর্থসহ মূল্যবান সামগ্রী হাতিয়ে নিচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় অত্র ক্যাম্প গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে কতিপয় অসাধু অজ্ঞান পার্টি জনসাধারনের নিকট হতে অর্থসহ মূল্যবান সামগ্রী হাতিয়ে নেওয়ার কার্যক্রম করছে।

উক্ত সংবাদ অবহিত হওয়ার পর র‌্যাব-৮, সিপিসি-২ ফরিদপুর র‌্যাব ক্যাম্পের একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ সুপার মোঃ শফিকুল ইসলাম এর নেতৃত্বে সোমবার (২৭ জুন) দিন-রাতে রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ ঘাট থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ভোর রাতে অজ্ঞান পার্টি চক্রের উপরোক্ত সদস্যদের আটক করে।

এ সময় আটককৃত ব্যক্তিদের হেফাজত হতে বিভিন্ন ধরনের অজ্ঞান করার সামগ্রী জব্দ করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী বাসে চলাচলরত যাত্রীসহ গরু ব্যাবসায়ীদের অজ্ঞান করে সর্বস্ব লুট করত চক্রটি। তারা ভালো সম্পর্ক তৈরি করে বিষাক্ত খাবার এবং ওষুধ খাওয়ানোর মাধ্যমে অজ্ঞান করে মূল্যবান সরঞ্জাম যেমন; মোবাইল ফোন, টাকা-পয়সা, স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নিত।

উদ্ধারকৃত মালামালসহ আটককৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দঘাট থানায় সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে মর্মে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব-৮ এর কর্মকর্তা খোরশেদ আলম ব্যবসায়ী ও যাত্রী সহ সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, অপরিচিত লোকের দেয়া বা ভ্রাম্যমান হকারের নিকট থেকে খাবারের দ্রব্য না খেতে।

এতে দেখা যায় দুইজন যাত্রী থাকলে একজনকে চেতনানাশক বস্তু ও অপরজনকে ভাল খাবার দিয়ে তার লক্ষ্য পুরন করে লুটপাট করে নিয়ে যায়। একজন অসুস্থ হয়ে পড়লে তার সাথের লোক অসুস্থ ব্যক্তিকে সুস্থ করার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ে, এ সুযোগে মলম পার্টি তার কাজ সেরে ফেলে। এছাড়াও দুর্বল বা হার্টের রোগী হলে তার মৃত্যুও ঘটতে পারে এ চেতনানাশক দ্রব্য খেলে। এ জন্য সবসময় সবাইকে সতর্কতা অবলম্বন করে চলাচলের অনুরোধ জানান।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password