চৈত্রের শেষ দিনে আজ (মঙ্গলবার) পাহাড়িদের মূল বিজু। এদিন সারাদিন হৈ-হুল্লোড় করে কাটাচ্ছেন পাহাড়ি তরুণ তরুণীরা। ঘরে ঘরে নিমন্ত্রণ আর আতিথিয়েতা গ্রহণের সে এক অনাবিল আনন্দ। আজ পাহাড়ি ঘরে ঘরে ঐতিহ্যবাহী খাবার পাঁচন ভোজন চলছে।অতিথিদের মাঝে ঐহিত্যবাহী খাবার পাঁচন পরিবেশন আর একে অন্যের বাড়িতে যাওয়া আসার মধ্য দিয়ে বৈসাবি উৎসব তার চিরায়ত ব্যঞ্জনায় রূপ লাভ করে। বহু প্রকার সবজি দিয়ে ঐতিহ্যবাহী এই পাঁচন তৈরি করা হয়।
পাহাড়িদের বিশ্বাস, এই পাঁচন খেলে বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এছাড়া একদিনে সাত পরিবারে এই পাঁচন খেলে সর্বরোগ থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া যায়।বিজুর দিনে পাহাড়িদের বাসায় পাহাড়ি-বাঙালি সবাই যান। এদিন ফুটে ওঠে অসাম্প্রদায়িক মনোভাব।
এর আগে সোমবার ‘ফুল বিজু’র পরপরই তরুণীরা নিজেদের ঘরে ফিরে যান। মুরুব্বিদের প্রণাম করে আশির্বাদ গ্রহণ করেন। ফুল ভাসানো শেষে বয়স্কদের স্নান করানো হয়। পাড়ার বয়স্কদের শরীরে পানি ঢেলে তাদের আশির্বাদ কামনা করেন তরুণ-তরুণীরা। দেয়া হয় নতুন পোষাক।
চৈত্রের শেষ দিন ও বৈশাখের প্রথম দিন হৈ-হুল্লোড় করে কাটাবেন পাহাড়ি তরুণ তরুণীরা। ঘরে ঘরে নিমন্ত্রণ আর আতিথিয়েতা গ্রহণের সে এক অনাবিল আনন্দ বয়ে যাবে আজ।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন