নড়াইলের লোহাগড়ায় মশার কয়েলের আগুন কেড়ে নিয়েছে শারীরিক প্রতিবন্ধী মোঃ বাবর আলীর (৪০) জীবন। শোবার ঘরেই আগুনে দগ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে তাকে। জন্মগতভাবেই বাবর আলী ছিলেন শারীরিক প্রতিবন্ধী। তার ডান পা ও ডান হাত ছিল অচল। কোন রকমে কথা বলতে পারতেন।
শুক্রবার (১৯ মার্চ) ভোর ৪টার দিকে লোহাগড়া পৌর এলাকার রামপুর গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তার এমন মর্মান্তিক মৃত্যুতে হতবাক ও বাকরুদ্ধ পরিবারের সদস্যসহ এলাকার সকলেই।
পারিবারিক সূত্র জানায়, লোহাগড়া পৌরসভার রামপুর গ্রামের মৃত ফকির নায়েব আলীর ৩ ছেলে ও ২ মেয়ের মধ্যে প্রতিবন্ধী বাবর আলী সবার বড়। পিতার মৃত্যুর পর ভাইয়েরাই সংসার দেখভাল করেন। একা টিনসেড ঘরে বসবাস করতেন তিনি।
বৃহস্পতিবার রাত ১০ টার দিকে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন বাবর আলী। সে ঘুমই ছিল তার শেষ ঘুম। শুক্রবার(১৯ মার্চ) ভোর ৪টার দিকে ঘরে মশা তাড়াতে জ্বালানো মশার কয়েল থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। খুব দ্রুতই তা ছড়িয়ে পড়ে পুরো ঘরে। পরিবারের সদস্যরাসহ গ্রামের লোকজন আগুনের বিষয়টি টের পাবার সাথে সাথে নেভানোর চেষ্টা করেন। এরই মধ্যে লোহাগড়া উপজেলার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরী হয়ে গেছে। শারীরিক প্রতিবন্ধী বাবর আলীর বাঁচার আকুতি থাকলেও চলাচলে অক্ষম হওয়ায় ঘর থেকে বের হতে পারেননি। শরীরের ৯০ ভাগই আগুনে পুড়ে তার মৃত্যু হয়েছে।
মা- দোলেনা বেগমসহ পরিবারের সদস্যরা শোকে মূর্ছা যাচ্ছেন। নিহতের ভাই মোঃ বাদলসহ অন্যরা জানান অগ্নিকাণ্ডে ভাইয়ের জীবন গেছে। ঘরসহ আসবাবপত্র পুড়ে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৪/৫ লাখ টাকার।
লোহাগড়া উপজেলার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার মোঃ মাসুদ রানা বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়েছি। কিন্তু ততক্ষণে বাবর আলীর মৃত্য হয়েছে। মশার কয়েল থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে তিনি জানান।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন