যশোরের চৌগাছা উপজেলার এক আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রীকে ভাগিয়ে নিয়ে গেছেন উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা সাদেকুর রহমান। যশোর প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনে কান্নাজড়িত কণ্ঠে এই অভিযোগ করেন উপজেলার ৯ নং স্বরুপদাহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সোলাইমান হোসেন।
সোলাইমান হোসেনের অভিযোগ, স্ত্রী ভেগে যাওয়ার সময় প্রায় চার লাখ টাকা ও ৮ ভরি স্বর্ণালংকার সাথে করে নিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় অসহায় আওয়ামী লীগ নেতা দলীয় নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন জায়গায় একাধিক অভিযোগ করেও কোনো ফল পাননি। তিনি এ ব্যাপারে আদালতের দ্বারস্থও হয়েছেন। সেখান থেকেও কোন ন্যায়বিচার তিনি না পেয়েই সাংবাদিক সম্মেলন করতে বাধ্য হলেন।
সোলাইমান হোসেন বলেন, তিনি ঝিনাইদহ জে’লার কোটচাঁদপুর উপজে’লার সাবদালপুর গ্রামে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তাদের দাম্পত্য জীবন খুবই সুখের ছিল। তিনি এক ছে’লের বাবা। ছেলের নাম আবু বক্কর, সে ৫ম শ্রেণির ছাত্র। উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি একই ইউনিয়নের বাসিন্দা হওয়ার সুবাদে সে সময়ে-অসময়ে আমার বাড়িতে আসত। আসা যাওয়ায় আমার স্ত্রী সালমা খাতুনের সাথে তার সম্পর্ক গড়ে ওঠে, যা আমার অজানা ছিল। এরই মধ্যে আমি বিদেশে যাই। কুয়েত, সৌদি আরব, বাহারাইনসহ বেশ কয়েকটি দেশে দীর্ঘদিন থেকেছি।
বিদেশ থাকাকালীন আমার স্ত্রী সালমা খাতুনের নামে টাকা ও বিভিন্ন সময়ে স্বর্ণালংকার পাঠাই। ২০১৭ সালের ৩১ জুলাই স্ত্রী সালমা খাতুন নগদ ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ও প্রায় ৮ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে ছাত্রলীগ নেতা সাদেকুর রহমানের সাথে চলে যায়। এর কিছু দিন পর সে আমাকে তালাক দেয় এবং সাদেকুরকে বিয়ে করে।যেহেতু আমি একটি দলের নেতা এবং আমার স্ত্রী যার সাথে গেছে সেও আমার দলের সহযোগী সংগঠনের নেতা; তাই বিষয়টি নিয়ে আমি খুব বেশি জানাজানি না করে দলের শীর্ষ নেতাদের দ্বারস্থ হই। আমার স্ত্রীকে ফিরে পেতে আমি সব ধরনের চেষ্টা করি। কিন্তু কোনো কিছুই হয়নি। বাধ্য হয়ে ছাত্রলীগ নেতা সাদেকুর রহমানের নামে আমি ৩টি মামলা করি যা চলমান আছে। মামলা করার পর সে আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। আমি কোনো কিছুতেই তোয়াক্কা করিনি।সংবাদ সম্মেলন ছাত্রলীগ নেতার কঠোর বিচার দাবি করে দলের সর্বোচ্চ নেতাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন সোলাইমান হোসেন।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন