রাশেদুল ইসলাম, পত্নীতলা (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ পত্নীতলায় পারিবারিক কলোহের জেরধরে প্রতিপক্ষের হামলায় গর্ভের সন্তান নষ্ট। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হলে পুলিশ একজনকে আটক করে কোর্ট হাজতে প্রেরন করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার নাদৌড় গ্রামে জনৈক সুমন ও কাজলের পরিবারের মধ্যে।
ঘটনার পর থেকে প্রতিপক্ষের হুমকিতে সুমন ও তার স্ত্রী সহ পরিবারের লোকজন মানবেতর জীবনযাপন করছে। মামলা সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার নজিপুর ইউপির নাদৌড় গ্রামের মৃত দেওয়ান মোয়াজ্জেম হোসেনের ছেলে সুমন (৩২) ও তার পরিবারের সাথে প্রতিবেশী মৃত রজব আলীর ছেলে কাজল (২৮) ও তার পরিবারের পূর্ব থেকে পারিবারিক ভাবে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল।
এরই এক পর্যায়ে, গত ২৭ জুলাই/২০২১ মঙ্গলবার দুপুর আনুঃ দেড়টায় সুমনের বাড়ির পাশে তার ভাই রুস্তমের লীজ নেয়া চাষকৃত পুকুরে প্রতিবেশী কাজল পায়খানা পরিষ্কারের মল ঐ পুকুরে ফেলে। এসময় তাদেরকে সেখানে মল ফেলতে নিষেধ করলে তারা তা না শুনে সুমন ও তার ভাই রুস্তমকে হুমকি দেয়।
এরই প্রেক্ষিতে সুমন ও তার ভাই থানায় একটি অভিযোগ করে বাড়ি ফেরার পথে আবারো কাজল ও তার ভাই মানিক মিয়া (৩৬), একই এলাকার মৃত ফয়েজ উদ্দীনের ছেলে লোকমান (৫৮), জাইমুদ্দীনের ছেলে রিপন (৩০) এবং রানীনগর থানার চন্ডিপুর এলাকার মোঃ সৌখিনের ছেলে (কাজলের ভগ্নিপতি) ইনতাজ হোসেন (৪০) সহ তাদের সঙ্গিয়রা সুমনের উপর চড়াও হয়ে মারপিট শুরু করলে সুমনের গর্ভবতি স্ত্রী নূর জাহান (২৫) স্বামীকে বাঁচাতে সেখানে এগিয়ে গেলে তাকেও আঘাত করে।
এসময় সুমন ও তার স্ত্রীর চিৎকারে পরিবারের লোকজন গুরুত্বর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করালে সুমনের শরীরে বিভিন্ন যায়গায় সেলাই সহ ব্যান্ডিজ করলেও তার স্ত্রী নূর জাহানের গর্ভের সন্তানটি নষ্ট হয়ে যায়। সুমন জানায়, গত ২৭ জুলাই/ ২০২১ মঙ্গলবার দুপুর আনুঃ দেড়টায় তার বাড়ির পাশে লীজ নেয়া চাষকৃত পুকুরে প্রতিবেশী কাজল সহ তার সঙ্গিয়রা পায়খানার মল ফেলতে গেলে সেখানে বাধা প্রদান করলে কাজল সহ তার লোকজন সুমন ও তার স্ত্রীর উপর চড়াও হয়ে মারপিট করে।
এসময় সে সহ তার স্ত্রী গুরুত্বর আহত হয় এবং স্ত্রীর গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়ে যায়। এঘটনায় আমি থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ একজনকে আটক করলেও অন্যান্য আসামী সহ তাদের ইন্ধনদাতা আমাকে ও আমার পরিবারের লোকজনকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে চলেছে। এতে আমার পরিবার নিয়ে আমি মানবেতর জীবনযাপন করছি।
এব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের আরএমও ডাঃ দেবাশীষ রায় জানান, সুমনের স্ত্রী নূর জাহান আহত অবস্থায় ভর্তি হলে ডাক্তারী পরিক্ষা করে জানাযায় অতিরিক্ত রক্ত খরনের ফলে তার গর্ভের সন্তানটি নষ্ট হয়ে গেছে। এবিষয়ে পত্নীতলা থানার অফিসার ইনচার্জ শামসুল আলম শাহ জানান, উক্ত ঘটনায় সুমন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে। মামলার প্রেক্ষিতে কাজল নামে একজনকে আটক করে কোর্ট হাজতে প্রেরন করা হয়েছে। মামলা নং- ০১, তাং-০১/০৮/২০২১ইং।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন