চট্টগ্রামের সরকারি কমার্স কলেজ এলাকায় যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর পোস্টার ছেঁড়া নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত যুবলীগকর্মী মারুফ চৌধুরী মিন্টু মারা গেছেন।

শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) নগরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মিন্টু মারা যান বলে জানিয়েছেন ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সদীপ কুমার দাশ।গত বৃহস্পতিবার রাতে ডবলমুরিং থানাধীন ধামরা পুকুরপাড় এলাকায় মারুফের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে চমেক হাসপাতাল ও পরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়।

নিহত মারুফ চৌধুরী ডবলমুরিং থানার আগ্রাবাদ সালেহ আহমদ চেয়ারম্যান বাড়ির কামাল চৌধুরীর ছেলে ও পাঠানটুলি ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা আলমগীর চৌধুরী আলোর ছোট ভাই। তিনি নগর যুবলীগের রাজনীতিতে মহিউদ্দিন বাচ্চুর অনুসারী বলে জানা গেছে।মারুফের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় আরেক যুবলীগকর্মী রমজানের বিরুদ্ধে। রমজান আরেক যুবলীগ নেতা মোস্তফা কামাল টিপুর অনুসারী। টিপু নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গত বুধবার যুবলীগ নেতা আলমগীর চৌধুরী আলোর গ্রুপের ছেলেদের লাগানো শুভেচ্ছা সম্বলিত কয়েকটি পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেন রমজানসহ আরও কয়েকজন। বড় ভাই আলোর লাগানো পোস্টার ছেঁড়ার ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে মারুফসহ কয়েকজন ওইদিনই রমজানকে ধরে এনে মারধর করেন।পরদিন রাত সাড়ে ৯টার দিকে কমার্স কলেজের পেছনে ধামরা পুকুরপাড় এলাকায় মারুফকে একা পেয়ে যায় রমজান। এ সময় মারুফ একটি টং দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন। এমন সময় পেছন থেকে ভারী কোনো বস্তু দিয়ে মারুফের মাথায় আঘাত করে পালিয়ে যায় রমজান। পরে স্থানীয়রা তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে নিয়ে যায়।

জানা গেছে, নিহত মিন্টু আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকায় পানি সরবরাহের কাজ করতেন। তার একবছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।

ডবলমুরিং থানার এসআই অর্ণব বড়ুয়া বলেন, এলাকাভিত্তিক বিরোধের জেরে রমজান আলী নামে এক যুবকের সঙ্গে দুইদিন আগে মিন্টুর ঝগড়া হয়। এর জেরে বৃহস্পতিবার রাতে সরকারি কমার্স কলেজ এলাকায় মিন্টুকে একা পেয়ে পেছন থেকে আঘাত করে রমজান। স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। শুক্রবার রাতে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।