জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের আলোচনা সভা

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের আলোচনা সভা
MostPlay

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ,সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক জাতীয় শোক দিবসের মর্মন্তুদ উপলব্ধির আলোকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব স্মরণে আলোচনা সভা বঙ্গবন্ধু ২৩ এভিনিউ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। 

আলোচনা সভায় মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. এস এম মাসুম বিল্লাহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য। অতিথিবৃন্দ হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন - বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক আল-আমিন রহমান, উপ-সম্পাদক এস এম ওবায়দুল, মোস্তাফিজুর রহমান খান, খন্দকার নূর কুতুবুল আলম তুষার, রাকিবুল ইসলাম সাকিব, সাখাওয়াত হোসেন বকুল। 

সম্মিলিত বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সংগ্রামী সভাপতি জাহিদ হোসেন পারভেজের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হাকিম সম্রাটের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তারা হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর হত্যাকান্ডকে জাতি ও বিশ্ব রাজনৈতিক ইতিহাসে কলঙ্কতম অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত করেন। পাশাপাশি জাতির পিতা হারানোর শোক কতটা তীব্র, স্বাধীন দেশের সামগ্রিক অগ্রযাত্রায় তা কেমন প্রভাব রেখেছিলো, বঙ্গবন্ধুর জীবন সংগ্রামের বিভিন্ন স্তরের আলোচনাও বক্তাদের মাধ্যমে উঠে আসে।

বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের মাস্টারমাইন্ড জিয়াউর রহমান ও প্রত্যক্ষভাবে জড়িতদের আগামীর প্রজন্ম কখনো ক্ষমা করবে না এবং পাকিস্তানি ভাবধারার সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই চলমান থাকার আশাবাদ তারা ব্যক্ত করেন। এসময় বক্তারা তারেক জিয়ার সাম্প্রতিক ও অতীত ভূমিকার সমালোচনাও করেন। 

মুখ্য আলোচক ড. এস এম মাসুম বিল্লাহ বলেন, সারা বাংলা হলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিচ্ছবি। বঙ্গবন্ধুর জীবন জীবনের থেকে বড় বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। বঙ্গবন্ধু কেন জাতির পিতা, সেই বিষয় উল্লেখ করতে গিয়ে তিনি জানান - প্রত্যেক ধর্ষিতা নারীর পিতার জায়গায় বঙ্গবন্ধু নিজের নাম লিখে দিতে বলেছিলেন আর ঠিকানা দিতে বলেছিলেন ধানমন্ডি ৩২। তার মৃত্যু সেই দায়িত্ব অপূর্ণ রেখে গেছে। 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, ঐক্যবদ্ধ ছাত্রলীগ অদম্য। খুনী জিয়া ও পাকিস্তানি প্রেতাত্মাদের যেকোনো মূল্যে ঠেকাতে হবে। এসময় বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডকে সময়ের প্রয়োজন বলে সমর্থনকারীদের সুশীল আখ্যা দিয়ে সমালোচনা করেন তিনি। 

সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, ৭৫-৯৬ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের যারা এদেশে প্রতিষ্ঠিত করেছে, তাদের মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে। ইতিহাস বিকৃত করে প্রজন্মের কাছ থেকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক সত্যতা দূরে নিয়ে গেলেও, সময়ের ব্যবধানে আজ প্রজন্ম সঠিক ইতিহাস জানতে পারছে। যার ফলে ১৫ই আগস্টের কুশীলবরা আজ সর্বমহলে ঘৃণিত। 

আলোচনা সভায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী সংসদের সাংগঠনিক নেতৃবৃন্দ এবং বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password