পর্যটনের এমন ভর মৌসুমেও করোনার প্রভাবে পর্যটক শূন্য হয়ে গেছে কক্সবাজারে বিশ্বের দীর্ঘতম সৈকত। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলার সকল পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্র ১৪ দিন পর্যন্ত সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণার পর শুক্রবার থেকে পর্যটক শূন্য সমুদ্র সৈকত।
কক্সবাজার সৈকত থেকে কিটকট ছাতা তুলে নিয়েছে ব্যবসায়ীরা। হকার ও ফটোগ্রাফাররা বেকার সময় পার করছে। বেশিরভাগ বাদাম-ঝালমুড়ি ব্যবসায়ী পাড়ি জমিয়েছে তাদের নিজ বাড়িতে।
আজ শুক্রবার দেখা যায়- সৈকতের লাবণী পয়েন্ট, সুগন্ধা পয়েন্ট, কলাতলী পয়েন্ট, সী-গাল পয়েন্ট, শৈবাল পয়েন্ট, কবিতা চত্ত্বর ও ডায়াবেটিস পয়েন্টে পর্যটক শূন্য। সেখানে পযর্টক প্রবেশ নিষিদ্ধ করার জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এসব পয়েন্টে পর্যটক শূণ্য করে প্রবেশ রোধে ব্যারিকেড স্থাপন করা হয়েছে।
করোনার প্রাদুর্ভাবে প্রথমে হোটেল বন্ধ রাখার কথা জানালেও পরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আপাতত হোটেল খোলা রাখা হয়েছে। তবে মোট রুমের অর্ধেক সংখ্যক রুম ভাড়া দিতে পারবে কর্তৃপক্ষ। এ নির্দেশনা মতো ব্যবস্থা নিতে ট্যুরিস্ট পুলিশসহ প্রশাসনের সংশ্লিষ্টদের তাৎক্ষণিক ভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনা অমান্য করলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নিতেও বলা হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ।
এ নির্দেশনার পর কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের আনা গোনাসহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, 'নির্দেশনার পাওয়ার পর পরই তাৎক্ষণিক ভাবে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছেন তারা। ঘুরতে আসা পর্যটকদের সৈকতে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। সমুদ্র সৈকতসহ পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে নজরদারি করতে ট্যুরিস্ট পুলিশের টহলও জোরদার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হার আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পর্যটন মন্ত্রণালয় থেকে জেলা প্রশাসনের কাছে একটি নির্দেশনা আসে। এতে কক্সবাজারের সব পর্যটন কেন্দ্র আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর আগে গত বছর ১৮ মার্চ থেকে মহামারীরোধে কক্সবাজারের সব পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করে প্রশাসন। এরপর ১৭ অগাস্ট স্বাস্থ্য বিধিসহ নানা শর্ত আরোপ করে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছিল।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন