কলেজপড়ুয়া এক শিক্ষার্থী প্রতিদিন বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করছেন। এ নিয়ে এলাকার লোকজন বিরক্ত। এ ঘটনায় এলাকার প্রতিবাদী একজন সোমবার সকালে নালিশ করতে যান ওই শিক্ষার্থীর পরিবারের কাছে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই পরিবারের সদস্যরা তাঁকে কিলঘুষি মারেন ও বেদম মারধর করেন। এতে তিনি মারা যান। কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার এতবারপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া ওই ব্যক্তির নাম ফরিদ মিয়া (৫৪)। তিনি একই গ্রামের ছায়েদ আলীর ছেলে। এ ঘটনায় চান্দিনা থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। এতবারপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. আবু তাহের বলেন, ‘এলাকার শান্তির জন্য প্রতিবাদ করতে গিয়ে ফরিদ মিয়াকে প্রাণ দিতে হলো। এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই আমরা।’
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চান্দিনা উপজেলার এতবারপুর গ্রামের রুহুল আমিনের কলেজপড়ুয়া ছেলে হাবিব উল্লাহ কয়েক দিন ধরে বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে আসছেন। এ নিয়ে সোমবার সকাল ১০টার দিকে পাশের বাড়ির বাসিন্দা ফরিদ মিয়া কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থীর বাবা রুহুল আমিনের কাছে নালিশ দিতে তাঁদের বাড়িতে যান।
এ সময় ক্ষিপ্ত হয়ে রুহুল আমিন ও তাঁর ছেলে হাবিব উল্লাহ প্রথমে ফরিদ মিয়াকে মারধর করেন। একপর্যায়ে কিলঘুষি মেরে মাটিতে ফেলে দেন। এ সময় আশপাশের বাড়ির লোকজন এসে ফরিদ মিয়াকে উদ্ধার করে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
এ ঘটনার পর থেকে ওই কলেজছাত্র হাবিব উল্লাহ ও তাঁর বাবা রুহুল আমিন পলাতক। তাঁদের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসউদ্দীন মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন