তুষার ঝড়ে লন্ডভন্ড নিউইয়র্কসহ যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর পূর্বাঞ্চল। বয়ে যাওয়া দুই দিনের তুষারপাতে গেল কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ক্ষতির মুখে দেশটির বাসিন্দারা।তুষারঝড়ে বিপর্যস্ত জাপানের জনজীবন। আর গবেষকরা বলছে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ২০৫০ সালের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ায় ৬ কোটি ৩০ লাখ মানুষকে করবে অভিবাসী।
কয়দিন থেকেই টানা তুষার ঝড়ে নিউইয়র্কসহ যুক্তরাষ্ট্রের হাজারো গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায়। যেদিকে চোখ যায় সাদা বরফের সুপ্তপ। গেল দুই দিনে তুষারঝড়ের কারণে ১৫ শর মতো ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ৫০টি রাজ্যের অর্ধেকেরও বেশি অঙ্গরাজ্যে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে নেমে গেছে। কোথাও ২৪ ইঞ্চির বেশি বরফের স্তর পড়েছে। নিউইয়র্কের বিংহ্যামটনের ৪০ইঞ্চি বরফের স্তরে ঢাকা পড়েছে। পরিস্থিতি পূর্বের সব রেকর্ড ভেঙ্গে দিয়েছে।
আমাদের সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ, আমি ৪০ বছর ধরে এখানে বসবাস করছি, তবে আমরা দেখা সবচেয়ে খারাপ অভিজ্ঞতা এবারের আবহাওয়া জাপানের উত্তর ও পশ্চিমের বিভিন্ন এলাকায় ভারী তুষার ঝড়ের কারণে মহাসড়কে আটকা পড়েছে অসংখ্য যানবাহন । এসব উদ্ধারে কাজ করে যাচ্ছে উদ্ধারকারীরা । বুধবার সন্ধ্যা থেকে এই তুষার ঝড় শুরু হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন সড়কে কয়েক দফায় জানজটের সৃষ্টি হয়। এদিকে ফিজিতে সাইক্লোন ইয়াশার তান্ডবের পর বাড়ছে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান।
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে এক কোটি ৮০ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে, বৈশ্বিক পরিবর্তনের ধারা অব্যাহত থাকলে এই সংখ্যা তিন গুণের বেশি হতে পারে বলে গবেষকরা সতর্ক করেছেন। এছাড়া সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, নদী ভাঙন এবং খরাপ্রবণ এলাকায় শস্য উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় ২০৫০ সাল নাগাদ এই অঞ্চলের প্রায় ৬ কোটি ৩০ লাখ মানুষ তাদের ঘর-বাড়ি ছেড়ে যেতে বাধ্য হতে পারে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন